জুমবাংলা ডেস্ক : কোরবানি শব্দের অর্থ ত্যাগ, আত্মোৎসর্গ; নৈকট্য লাভ এবং জবাই করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় কোরবানির অর্থ হলো, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা।
এ প্রসঙ্গে কোরআনে এসেছে, ‘সকল সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি (আল্লাহ) তাদের জীবন উপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৪)।
আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আমি তোমাকে কাওসার দান করেছি। সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো। নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ। (সুরা কাওসার: ১-৩)
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ইদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১২৩)
বছর শেষে নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার সমমূল্যের সম্পদের মালিক থাকে, তাদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার পরও কোরবানি না করলে গোনাহগার হতে হবে। বিপরীতে সন্তানের আকিকা করা মুস্তাহাব। আকিকা না করলে কোনো গোনাহ নেই। তাই আকিকাকে কোরবানির চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া, কোরবানি না করে আকিকা করা সঠিক নয়।
কোরবানি ওয়াজিব হলে অবশ্যই কোরবানি করতে হবে। পাশাপাশি আকিকা করার সামর্থ্য থাকলে কোরবানির সাথে আকিকা করবে বা পরে অন্য যে কোনো সময় আকিকা করবে। তবে কারো ওপর যদি কোরবানি ওয়াজিব না হয়, সে কোরবানি না করেও আকিকা করতে পারে, এতে কোনো সমস্যা নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।