জুমবাংলা ডেস্ক : ধীরে ধীরে জমে উঠছে বাঙালির প্রাণের মেলা ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’। প্রকাশকরা বলছেন, এবার মেলার আয়তন বাড়ায় লোক সমাগম অন্যবারের মতো বোঝা যাচ্ছে না। তবে মেলার বেচা-কেনা এখনও বাড়েনি।
আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মেলা শেষ হওয়ার পর কাল শুক্রবার থেকে মেলা তার চিরচেনারূপে ফিরে যাবে বলে মনে করছেন বেশিরভাগ প্রকাশক। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে কথা হয় নালন্দার প্রধান নির্বাহী জুয়েল রেদুয়ানুরের সঙ্গে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মেলা শেষ না হলে বইমেলা জমে উঠবে না। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মেলা শেষ হওয়ার পর শুক্রবার থেকে বইমেলা জমে উঠবে। আমরা এখন শুক্রবারের অপেক্ষাতেই আছি। মেলার পরিবেশ নিয়ে এই প্রকাশক বলেন, এবারের মেলা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক গোছানো। তবে যাদের বই নেই এ ধরনের অনেক অপ্রকাশককে মেলায় স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে করে মেলার সৌন্দর্যহানি ঘটছে। তার কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা প্রকাশের ব্যবস্থাপক ইউনুস আলীও জানালেন, এখনো পাঠকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তার মতে, বেশিরভাগ প্রকাশকই শুক্রবারের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের তথ্যমতে, গতকাল মেলার চতুর্থ দিনে মেলায় গতকাল নতুন বই এসেছে ৯৫টি।
নঈম নিজামের ‘রানি ভিক্টোরিয়া ও করিম কাহিনি’ : প্রকাশনা সংস্থা অন্বেষা প্রকাশন এবারের মেলায় এনেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও বরেণ্য লেখক নঈম নিজামের বই ‘রানি ভিক্টোরিয়া ও করিম কাহিনি’। বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ও পাঠক কর্তৃক প্রশংসিত ৪৪টি নির্বাচিত কলাম দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি।
‘রানি ভিক্টোরিয়া ও করিম কাহিনি’ ‘দিন শেষ রাজনীতির গডফাদারদের’ ‘সর্বনাশা ভেজাল রাজনীতি’ ‘ক্ষমতার রঙিন মসনদ’ ‘মুঘল-ই-আজম ও ক্রসফায়ার’ ‘রাজনীতিবিদরা কি মানুষের ভাষা বোঝেন’ ‘মুক্তিযুদ্ধ ভাঙিয়ে সন্ত্রাস কেন’ ‘মিডিয়াকে ধমকালে কার কী যায় আসে’ ‘যত দোষ সম্রাটের, বাকি সবাই ধুয়া তুলসী’ ‘বিএনপির কেন এই বিপর্যয়’ ‘সব দায়িত্ব কি রাজনীতিবিদদের’সহ ৪৪টি নির্বাচিত কলাম স্থান পেয়েছে গবেষণালব্ধ এই বইটিতে। বইটি এবারের মেলায় অন্যতম একটি সেরা বই হিসেবে পাঠকদের দ্বারা সমাদৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রকাশনা সংস্থা অন্বেষার স্বত্বাধিকারী শাহাদাত হোসেন। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শাকীর এহসানুল্লাহ। ২৫৬ পৃষ্ঠার এই বইটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।