আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহে মানবপাচার প্রতিবেদন (টিআইপি রিপোর্ট)-২০২২ প্রকাশ করবে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা এ কথা জানান।
ঢাকায় আমেরিকান সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল তিনি বলেন, এ রিপোর্টে ২২টি অধ্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৮৮টি দেশের তথ্য থাকবে।
দূতাবাসের কর্মকর্তা বলেন, প্রতিবেদনে বাস্তব ফলাফলের সঙ্গে অগ্রগতির বিভিন্ন ক্ষেত্র পাচার রোধ করার প্রচেষ্টা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সম্ভাব্য পদক্ষেপ এবং সরকারের প্রয়াসের ঘাটতিগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সুশীল সমাজ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার মতো বেসরকারী সংস্থা নয় বরং সরকারের প্রচেষ্টার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ মানব পাচার একটি অপরাধ যা যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে বিদ্যমান।
তিনি আরও বলেন, এটি ব্যক্তি কল্যাণ, জনস্বাস্থ্য, জননিরাপত্তা, জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে।
টিআইপি প্রতিবেদন হলো পাচার রোধ করার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টায় বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটি মানবাধিকার, আইন প্রয়োগ এবং জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
টিআইপি প্রতিবেদনটি বিশ্বের সবচেয়ে বিশদ তথ্য ভান্ডার, যা সরকারি পাচার-বিরোধী প্রচেষ্টার এবং এই মূল মানবাধিকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের প্রতি মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, মানব পাচারের বিরুদ্ধে কাজ করা ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের অন্যতম অগ্রাধিকার।
তিনি উল্লেখ করেন, মার্কিন দূতাবাস নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বজায় রাখে, বিচার বিভাগ বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সদস্য, প্রসিকিউটর এবং বিচারকদের প্রশিক্ষণ এবং ইউএসএআইডি পাচার থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিদের সুরক্ষা পরিষেবা উন্নত করতে এবং পাচারের ঝুঁকি কমাতে দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। পাচার বন্ধ করতে এনজিওগুলো এবং সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। এই অভিশাপের অবসান ঘটাতে সমাজের সবাইকেই প্রয়োজন।
টিআইপি প্রতিবেদনে দেশগুলোকে তিন স্তরে স্থান দেওয়া হয়েছে। যে দেশগুলো ন্যূনতম মানগুলো সম্পূর্ণরূপে পূরণ করতে পারে না, কিন্তু সেগুলো পূরণের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা করছে বলে মূল্যায়ন করা হয়েছে, তাদের টিয়ার ২-এ রাখা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ টিয়ার ২-এ রয়েছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



