জুমবাংলা ডেস্ক : আগুন কেড়ে নিলো মজিবরের শেষ সম্বল। চোখের সামনে শেষ হয়ে গেলো তার সব স্বপ্ন। খামারে রাখা মশার কয়েল থেকে সূত্রপাত হওয়া আগুনে পুড়ে মারা গেছে তার ৩টি গরু।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের বোয়াইলমারী গ্রামে এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
গাভীর দুধ বিক্রি করেই চলতো দরিদ্র খামারি মজিবর রহমানের সংসার। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে করেছিলেন গাভীর খামার। এখান থেকেই সচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। গরু বাঁচাতে গিয়ে আহত হন খামারি মজিবর রহমান। এছাড়া আরও ৩টি গরু ও ২টি ছাগল দগ্ধ হয়েছে।
খামারি মজিবর রহমান বলেন, রাত তিনটার দিকে হঠাৎ করে ঘুম থেকে জেগে ঘরের বাইরে বের হয়ে দেখি গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলছে। এসময় চিৎকার চেঁচামেচি করতে করতে গরুর রশি খুলতে জ্বলন্ত গোয়াল ঘরে প্রবেশ করি। এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। ২০ মিনিট পর চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আমাদের সাথে যোগ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে ৬টি গরুর মধ্যে ২টি উন্নত জাতের গাভি ও একটি এঁড়ে বাছুর আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায়।
মজিবর রহমান নিজেও এসময় অগ্নিদগ্ধ হন। চোখের সামনে আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যায় দরিদ্র মজিবরের স্বপ্ন। এতে তার ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মজিবর রহমান আরও বলেন, বাড়িটুকু ছাড়া আর কোনোকিছু নেই আমার। স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ ৫ সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণ চলতো খামারের গাভীর দুধ বিক্রি করে। সংসার ও খামার পরিচালনা করতে বেসরকারি সংস্থা কারিতাস, ব্র্যাক, সিসিডিবি ও রিক থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। এখন ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করবো, কি করে ঘুরে দাঁড়াবো।
চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার শফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ অগ্নিকাণ্ডে ৩টি গরু মারা গেছে। খামার মালিক, ৩টি গরু ও ২টি ছাগল দগ্ধ হয়েছে। গোয়াল ঘরে রাখা মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।