জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুরে রাসায়নিক পণ্যের একটি কারখানায় বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে একজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর তিন জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার টেপিরবাড়ি এলাকায় এএসএম কেমিক্যাল কারখানায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যাণ্ড সিভিল ডিফেন্সের আটটি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টায় রাত সাড়ে সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আসিফুর রহমান আগুনে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন। কারখানায় কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী জানান, আজ উৎপাদন চলাকালে বিকেল প্রায় সাড়ে চারটার দিকে কেমিক্যাল প্ল্যান্টের বয়লার কক্ষে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই আগুন প্ল্যান্টজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার ভেতর দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের অনেক ড্রাম ছিল।
স্থানীয় মুদি দোকানি আফাজ উদ্দিন জানান, বিকেলে হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের মতো শব্দ শোনা যায়। ওই সময় তাঁর দোকানটি কেঁপে উঠে।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন জানান, আগুন লাগার পর কারখানা ঘেঁষা প্রায় ৫০টি বসতঘর ঝুঁকিতে পড়ে। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে আশঙ্কায় ঘরের মালামালসহ নিরাপদে সরে যায় বাসিন্দারা।
আগুন লাগার খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যাণ্ড সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পরে গাজীপুরের জয়দেবপুর, টঙ্গী ও ময়মনসিংহের ভালুকা ফায়ার সার্ভিস অ্যাণ্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন থেকে আরো ছয়টি ইউনিট সেখানে পৌঁছে রাত সাড়ে সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভেতরে ঢুকে রাত পৌনে দশটার দিকে সেখান থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করেছেন তাঁরা। পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় মরদেহটি তাৎক্ষণিক শনাক্ত করা যায়নি। এ সময় ভেতরে আর কোনো মরদেহ নেই বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।