আজও হেঁটে শেষ করা যায়নি এই রাস্তা! পৃথিবীর দীর্ঘতম পথ কোথায় আছে জানেন?
জুমবাংলা ডেস্ক : প্রযুক্তির বদৌলতে আজ যেন গোটা বিশ্বই আমাদের হাতের মুঠোয়। পৃথিবীর দুর্গমতম অঞ্চলেও পায়ের ছাপ ফেলতে বাকি রাখেনি মানবজাতি। কিন্তু আমাদের গ্রহে অনেক অনাবিষ্কৃত জায়গা রয়েছে যার সন্ধান এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পায়ে হেঁটে নতুন জায়গায় যাওয়া, অজানা পথে ঘুরে বেড়ানো যেন একপ্রকার নেশার মতো তাড়া করে। ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা পায়ে হেঁটে ধূ ধূ মরুভূমিতে যেমন গিয়েছে, আবার পৌঁছে গিয়েছেন উঁচু পাহাড়ের চূড়াতেও। তবে আজও এমন একটি পথ রয়েছে যা পথচারীরা হেঁটে শেষ করতে পারেননি।
তাহলে কোথায় রয়েছে পৃথিবীর সেই দীর্ঘতম পথ? দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে রাশিয়ার পূর্ব দিকের বন্দর শহর ম্যাগাদান পর্যন্তই বিস্তৃত রয়েছে সেই রাস্তা। এটিই পৃথিবীর দীর্ঘতম হাঁটার যোগ্য দূরত্ব বলে ধরা হয়। তবে শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও দীর্ঘ এই পথ কোন মানুষই আজ অবধি শেষ করতে পারেননি।
তবে যেখানে দুর্গম থেকে দুর্গমতর রাস্তাতে যেতেও মানুষ বাকি রাখেনি সেখানে এই রাস্তাটিই বা বাদ পড়ল কেন? আসলে প্রায় 22,387 কিলোমিটার দূরত্বের পথটি হাঁটার যোগ্য হলেও খুবই দুর্গম। ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর দূরত্ব সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার। অর্থাৎ, প্রায় সাত গুণ হল পৃথিবার দীর্ঘতম পথ। আরও বিশদে বলতে গেলে, প্রতিদিন গড়ে 8 ঘণ্টা হাঁটলে এই পথ অতিক্রম করতে মানুষের সময় লাগবে 587 দিন। আবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও বিরতি না নিয়ে হাঁটলে 187 দিন লাগবে এই যাত্রাপথ শেষ করতে। যা বাস্তবে অসম্ভব বই কী!
সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি শুধু ভিন্ন ভিন্ন দেশই নয়, সংযুক্ত করে রেখেছে তিনটি মহাদেশকে। তবে কোনোরকম যানবাহন, নৌকা কিংবা স্টিমার ছাড়াই এই পথ ধরে উত্তর-পূর্ব রাশিয়ার ম্যাগাদান শহর থেকে পৌঁছে যাওয়া যায় সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে। যেখানে যেতে গেলে মাঝে পড়বে মোট 17টি দেশ এবং ছয়টি ঋতুও উপভোগ করা যাবে।
রাস্তাটি ঠিক কতটা দীর্ঘ বোঝানোর জন্য আপনাকে 13 বার মাউন্ট এভারেস্ট ওঠানামা করতে হবে। তবে কোনও ভ্রমণপিপাসু মানুষ রাস্তাটির দুর্গম যাত্রপথ শেষ করার কথা ভাবলেও বিশেষজ্ঞরা সেখানে না যাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন। রিপোর্ট অনুসারে সংশ্লিষ্ট রাস্তাটিতে সাম্প্রতিককালের তুরস্ক এবং সিরিয়ার ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে।
মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ৯ হাজার কোটি টাকার মালিক এক বাঙ্গালী তরুণী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।