বিশাল মরুভূমিতে বিরাট এক চোখ। কিন্তু কোন মানুষের চোখ নয়। আপনি এটাকে ৪৫ কিলোমিটার জুড়ে একটি বিরাট গহ্বর বলতে পারেন। পৃথিবীর অন্যতম এই রহস্যের নাম আই অফ দি সাহারা। অনেকে এটিকে আফ্রিকার নীল চোখ বা সাহারার চোখ বলে অভিহিত করে থাকেন।
এটির গঠন এবং কাঠামো ’বার্ডস আই ভিউ’ থেকে সবথেকে ভালো বোঝা যায়। সমতল ভূমি থেকে ততটা উপলব্ধি করা যায় না। এটির ব্যাস হচ্ছে ৪০ কিলোমিটার। এটিকে প্রথম শনাক্ত করা হয় আমেরিকার এক মহাকাশ অভিযান থেকে।
১৯৬৫ সালে আমেরিকার এক মহাকাশ মিশনে পৃথিবীর ছবি তুলতে বলা হয়েছিল। এখান থেকে যে ছবি তোলা হয় সেখানে এটির গঠন সম্পর্কে স্পষ্ট জানা যায়। স্পেস শাটল থেকে এটি দেখার সময় অনেকেই কৌতুহলী হয়ে পড়েছিল।
নভোচারীরা এ কাঠামোকে একটি ল্যান্ডমার্ক হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। এ ধরনের গঠনের পেছনে অনেক মতবাদের অস্তিত্ব রয়েছে। এটি একটি উল্কার আঘাতের ফলে সৃষ্ট গর্ত বলে মনে করা হয়েছিল। উপর থেকে দেখতে এটিকে অনেকটা চোখের মতো দেখায়।
পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক কাঠামোর ক্ষয়প্রাপ্ত অবশেষ নিয়ে সাহারার চোখ গঠিত হয়েছে বলে একটি মতবাদে উল্লেখ করা হয়। অন্য একটি মতবাদ বলা হয়েছে কোন দেশ এখানে গোপন আণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে বলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত থেকে এ চোখের সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ভূতাত্ত্বিক কাঠামোর ভেতরের পাথর এবং বাইরের পাথরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ভেতরের পাথর অনেক বেশি পুরনো মনে হয়।
এমনকি ১০৪ মিলিয়ন বছর পুরনো পাথরের সন্ধান পাওয়া যায় এখানে। প্যানজিয়া বিভক্ত হওয়ার সময় এটি গঠিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। বহু রকমের শিলার উপস্থিতি এই গহ্বরকে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছে করে তুলেছে আকর্ষণীয়। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন এর পেছনে অন্য রহস্য রয়েছে যা এখনো উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তাই এটি নিয়ে গবেষণা এখনো চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।