জুমবাংলা ডেস্ক : অভিযোগ-পালটা অভিযোগ, মামলা, অর্থ লেনদেনের অভিযোগসহ নানা ঘটনার পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। গত এক মাসে এফডিসিতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অথবা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণাসহ নানাবিধ ঘটনার জন্ম দেয়।
এতে শিল্পীদের ছোট্ট একটি সংগঠনের নির্বাচন যেন জাতীয় নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে! এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেলে বেশ কয়েকজন তারকাশিল্পী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে একটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদ্য বিদায়ি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। অন্যদিকে আরেকটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সভাপতি পদে প্রখ্যাত অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। দুই প্যানেলেই সিনিয়র-জুনিয়র বেশ কয়েকজন তারকাশিল্পী একে অন্যের বিরদ্ধে লড়ছেন।
এদিকে চলতি মাসের শুরু থেকেই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। শুরুতেই অনেকের মনে সন্দেহ ছিল যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা। কারণ একদিকে করোনার প্রকোপ বাড়ার শঙ্কা, অন্যদিকে শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার বঞ্চিত অনেক সহযোগী সদস্যের দায়ের করা রিটে আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ও ছিল আলোচনায়। কিন্তু গত সেশনের নির্বাচিত মিশা-জায়েদ কমিটি যথাসময়ই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য পরিচালনা কমিটি গঠন করে কমিশনারদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। পূর্বের কমিটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ২৮ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা শহীদুল হারুন। তার সঙ্গে কমিশনার হিসাবে রয়েছেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশেদ চৌধুরী।
এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪২৮ জন। সকাল ৯টা থেকে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। তবে নির্বাচন চলাকালীন দর্শনার্থীদের ভিড় এড়াতে এবং করোনা সতর্কতায় এফডিসিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে রয়েছে-নিবন্ধিত টিভি চ্যানেল, বাছাইকৃত সংবাদপত্র ও সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অনলাইন সংবাদকর্মী ছাড়া আর কাউকে এফডিসিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন উপলক্ষ্যে আজ এফডিসিতে কোনো প্যান্ডেল বা চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে না। নির্বাচনের দিন ভোটার, শিল্পী ও ভোটসংশ্লিষ্টরা ছাড়া আর কেউ এফডিসির ভেতরে থাকতে পারবেন না।
এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪২৮ জন হলেও ২০১৭ সালে বিশেষ এক সভার মাধ্যমে বাদ পড়া ১২৪, প্রকারান্তরে ১৮৪ জন সদস্যও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আদালতে রিট করেছিলেন। ওই সময় নির্বাচিত মিশা-জায়েদ কমিটি সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে এসব সদস্যের ভোটাধিকার বাতিলপূর্বক তাদের সহযোগী সদস্য করে। এর প্রতিবাদে এসব শিল্পী তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে আদালতের আশ্রয় নেন। আদালত কর্তৃক ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে তাদের কেন বাদ দেওয়া হয়েছে এটা জানতে চেয়ে কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠালেও সে সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচনের আগের দিন নামের আগে ‘মোহাম্মদ’ শব্দ থাকার কারণে সেই চিঠি গ্রহণ করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।