জুমবাংলা ডেস্ক : আজ ১৭ জুলাই বিশ্ব ইমোজি দিবস। বহু বছর ধরে যোগাযোগের একটি বড় মাধ্যমে পরিণত হয়েছে নানা ধরনের ইমোজি। আজকাল ইমোজি প্রেরণের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি, প্রতিক্রিয়া কথা না বলে সামনের মানুষকে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। অনেকেই মেসেজে কথা বলার সময় বেসি টাইপ করতে চান না। তাদের জন্য ইমোজির ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ইমোজি সাধারণত ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাাপ, ফেসবুক, টুইটারসহ বেশকিছু সোশ্যাল মাধ্যমে এর প্রচলন রয়েছে। প্রতি বছর ১৭ জুলাই এই দিনটিকে পালন করা হয়। এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের কথোপকথনের মধ্যে ইমোজি ব্যবহারের প্রচার।
প্রতি বছর নতুন নতুন ইমোজি তৈরি করে ইউনিকোড কনসোর্টিয়া। তার একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়। এরপর অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। অনুমোদনের জন্য আসা ইমোজিগুলিতে ভোট প্রক্রিয়া চলে। সেই সদস্যদের মধ্যে থাকে নেটফ্লিক্স , অ্যাপল , ফেসবুক, গুগলসহ আরও অনেক সংস্থার কর্মকর্তারা। অনুমোদন পাওয়া গেলে ইমোজিগুলি বাজারে ছাড়া হয়। এরপর সেগুলিকে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলি তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের জন্য প্রেরণ করে। ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে ভোট
ইতিহাস
১৯৯৯ সালে, জাপানের একটি মোবাইল অপারেটিং সংস্থায় কর্মরত শিগাকাট কুরিতা (Shigetaka Kurita) নামের এক ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ইমোজি তৈরি করেছিলেন। মোট ১৭৬ টি ইমোজি তৈরি হয়েছিল। যা মোবাইল ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস আই-মোডের মুক্তির কথা ভাবা হয়েছিল। এরপর ২০১০ সালে ইউনিকোড ইমোজি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক, এবং টুইটারসেই পথ অনুসরণ করে। সম্প্রতি ইউনিকোড 6.0 ভার্সেনের মোট ৯৯৪ টি চরিত্রের ইমোজি তৈরি করেছে। যার মধ্যে পরিবার, হৃদয়, প্রাণী, দেশ, পতাকা, জামাকাপড়, ঘড়ি, খাবার এবং শহরের প্রতীক উপলব্ধ রয়েছে।
তাৎপর্য
২০১৪ সালে ইমোজিপিডিয়ায় ( Emojipedia) প্রতিষ্ঠাতা জেরেমি বুর্গ (Jeremy Burge) ১৭ জুলাই দিনটিকে বিশ্ব ইমোজি দিবস হিসাবে পালন করার কথা ঘোষণা করেন। এই দিনেই ইমোজিপিডিয়ায় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
গত বছর, ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম থেকে মোট ১১০টি ইমোজি প্রকাশ করা হয়েছে। য়ার মধ্যে রয়েছে কান্নার সঙ্গে হাসি যুক্ত মুখ, ট্রান্সজেন্ডার ফ্ল্যাগ, বাবল টি, সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর ইমোজি।
আমরা চ্যাটে অনেক কথোপকথন নিয়ে দ্বিধায় থাকি। অপরপক্ষের অনুভূতি বুঝতে পারি না। সে ক্ষেত্রে, ইমোজি আমাদের অনেক উপকার করে। এটি ভাগ করার মাধ্যমে আমরা অন্যের অনুভূতি বুঝতে পারি। ইমোজি ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে সহায়তা করে। অন্য ব্যক্তির সাথে আরও ভালভাবে সংযোগ স্থাপন করতে সহায়তা করে। তাই আজকের দিনে বেশি বেশি চ্যাট করুন। অনুভূতিগুলো ইমোজির মাধ্যমে ভাগ করে নিন।
সূত্র- ন্যাশনাল টু ডে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।