জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের রাউজানে ওমানপ্রবাসী এক সিআইপি ব্যবসায়ীর দুটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিণ সর্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
যার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে তার নাম ইয়াসিন চৌধুরী। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি আটবার বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হয়েছেন। ইয়াসিন চৌধুরী রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ফজলে করিম চৌধুরী বর্তমানে কারাগারে আছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে ২৫ থেকে ৩০ ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে ইয়াসিন চৌধুরীর দুটি দোতলা বাড়ি হাজেরা ভবন ও খোরশেদ আহমদ চৌধুরী ভবনের বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে দরজা, জানালা ও আসবাব ভাঙচুর শুরু করে। ভাঙচুরের পর দুটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে হামলাকারীরা চলে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ২০-২২টি মোটরসাইকেলে করে একদল যুবক এসে ইয়াসিন চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সেইসঙ্গে লুটপাট করে। পরে দাহ্য পদার্থ দিয়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। যাওয়ার সময় ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে তারা। ওই সময় ওই বাড়িতে কেয়ারটেকার মোস্তফা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।
রাউজান ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা শামসুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুটি বাড়ির ৮ থেকে ১০টি কক্ষ আগুনে পুড়েছে। অন্য কক্ষগুলোয়ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।’
এ ব্যাপারে ইয়াসিন চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে ওমানে রয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জেনেছেন, হামলাকারীরা সশস্ত্র অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। যাওয়ার সময় দুটি ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। হামলাকারীরা সশস্ত্র হওয়ার কারণে তাদের প্রতিরোধ করতে পারেনি কেউ।
ইয়াসিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি প্রবাসী ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্যের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে থাকতাম। লোকমুখে শুনেছি, আমাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা করা হয়েছিল।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরপরই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে ততক্ষণে হামলাকারীরা বাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছে। কেন ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি পুলিশ তদন্ত করছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী মামলা করলে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।