বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরই প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া দুই বীর ক্রিকেটার শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুশতাকের নামে খেলে থাকে দুই দল।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে মিরপুরের ‘হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ড’ খ্যাত শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শহীদ জুয়েল একাদশকে ৪২ রানে হারিয়েছে শহীদ মুশতাক একাদশ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানের বড় সংগ্রহ পায় শহীদ মুশতাক একাদশ। ‘অস্ত্র জমা দিলেও ট্রেনিং জমা দেননি’ এ প্রবাদের সত্যতা আরও একবার প্রমাণ করলেন সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী।
মুশতাক একাদশের পক্ষে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন আতাহার আলী। ৫৫ বল মোকাবিলা করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন তিনি। এছাড়া খালেদ মাসুদ পাইলট বলতে গেলে মোটামুটি ঝড় তোলেন মিরপুরের মাঠে। ১৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। পাশাপাশি শাহরিয়ার বিদ্যুতের ২৬, মোহাম্মদ রফিকের ১৫ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত ১৫০ রানের বড় সংগ্রহ পায় মুশতাক একাদশ।
এদিকে, পাইলট-আতাহারদের ব্যাট হাতে ঝড় তোলার দিনে ব্যর্থ সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ৪ বল মোকাবিলা করে মাত্র ৩ রান করেন তিনি।
অন্যদিকে, বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০৮ রানেই গুটিয়ে যায় শহীদ জুয়েল একাদশ। দলের পক্ষে হাবিবুল বাশার সুমন ও মুশফিক বাবু কিছুটা লড়াই চালালেও বাকিরা সেই চেষ্টাটাও চালাতে পারেননি। হাবিবুল বাশার ২৮ বলে অপরাজিত ২৯, মুশফিক বাবু ২৯ বলে ২৭ রান করেন।
ম্যাচ শেষে ক্রিকেটারদের পুরস্কৃত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
শহীদ মুশতাক একাদশ
জাবেদ ওমর বেলিম, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আকরাম খান, খালেদ মাসুদ পাইলট, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, মোহাম্মদ রফিক, এহসানুল হক সেজান, আতহার আলী খান, হাসিবুল হোসেন শান্ত, তারেক আজিজ খান, তালহা জুবায়ের, মোহাম্মদ আলী, আজহার হোসেন শান্ত, সানোয়ার হোসেন ও ফাহিম মুনতাসির সুমিত।
শহীদ জুয়েল একাদশ
মেহরাব হোসেন অপি, রকিবুল হাসান, সজল চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, হান্নান সরকার, মাহমুদুল হাসান রানা, সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, হাবিবুল বাশার সুমন, নাসির আহমেদ নাসু, এনামুল হক মনি, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু, মোর্শেদ আলী খান, মুশফিকুর রহমান, মনজুরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুল গণি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।