জুমবাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আত্মবিশ্বাস থাকলে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করতেন না।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ও ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভদ্রলোকের যদি এতই আত্মবিশ্বাস থাকতো আমি কোনো অপরাধ করিনি। তাহলে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। এছাড়া আমাদের সব কিছু আইন অনুযায়ী চলে। কেউ যদি ট্যাক্স না দেয়। আর যদি শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। আর লেবার কোর্টে মামলা হয়, আমাদের কী সেই হাত আছে মামলা বন্ধ করে দেব?’
সংবাদ সম্মেলনে ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বানে ১৬০ জন বিশ্বনেতার খোলা চিঠি পাঠানোর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলাটি চলমান (সাব জুডিস)। আমাদের দেশে আমরা চলমান মামলা নিয়ে আলোচনাও করি না। কারণ এটা সাব জুডিস। যেখানে যেটি নিজের দেশে সাব জুডিস হিসেবে গণ্য করা হয়, সেখানে বাইরের থেকে বিবৃতে এনে মামলা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। আমি কে মামলা প্রত্যাহার করার? আমার কী অধিকার আছে? আমার সেই ক্ষমতা আছে? জুডিশিয়াল তো স্বাধীন। আমরা তো হস্তক্ষেপ করতে পারি না।’
শেখ হাসিনা বলেন, যারা বিবৃতি দিয়ে তার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) বিচার স্থগিত করতে বলেছেন তাদের বলছি বিবৃতি না দিয়ে আইনজীবী পাঠাক, এক্সপার্টরা দেখুক অনেক কিছু পাবেন। আমাদের দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সব কিছুই আইন মতো চলে।
ব্রিকসের সদস্য পদ পাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে বাংলাদেশের কোনো চিন্তা ছিল না। সদস্য হওয়ার চেষ্টাও করিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। এবার তারা কিছু সদস্য নেবে সেটাও আমরা জানতাম। এ বিষয়ে আমাদের মতামত চাইলো। আমরা মতামত দিয়েছে। কিন্তু সদস্য হওয়ার চেষ্টা করিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, চাইলে (ব্রিকসের সদস্য পদ) পাবো না, বিষয়টি তেমন নয়। ব্রিকসের সদস্য হলে বাংলাদেশ খুশি হতো। তবে সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশ কাউকে বলেনি। আমরা কাউকে বলিনি, আমাদের সদস্য করো। সবকিছুর একটা নিয়ম আছে। আমরা সেই নিয়ম মেনে চলি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের অপজিশন থেকে বলছে পাইনি (ব্রিকসের সদস্য পদ)। বাংলাদেশ কিছু চাইলে পাবে না সেটা নয়। বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্বে এখন এমনই। বিএনপির আমলে দেশ ছিল হাত পেতে চলার, ভিক্ষা নিয়ে চলার দেশ। বাংলাদেশ আর সেই পরিস্থিতিতে নেই। এটা আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।