জুমবাংলা ডেস্ক : আদিবাসী এক তরুণী অন্য সম্প্রদায়ের যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এ কারণে ওই তরুণীকে মারধর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অর্ধনগ্ন করে পুরো গ্রাম ঘোরালো তারই সম্প্রদায়ের লোকজনেরা। এতে সায় দিল তাঁর পরিবারের লোকেরাও। এমনটাই ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরে। ইতিমধ্যে ওই ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ওই তরুণীর বয়স ১৯। ভিলালা সম্প্রদায়ের এই তরুণী মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরের তেমাচি গ্রামে বাস করেন। অন্য সম্প্রদায়ের এক যুবককে মনে ধরে তাঁর। এরপর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগল না। এ সম্পর্কের কথা জানতে পারেন মেয়েটির স্বজনেরা। লোকমুখে গোটা গ্রামের লোকজনেরাও জেনে ফেলেন সম্পর্কের কথা। মেয়েকে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরামর্শ দেন পরিজনেরা। কিন্তু তরুণী তাতে রাজি হননি।
‘অবাধ্য’ তরুণীকে মোক্ষম শিক্ষা দিতে চান পরিজনেরা। তাই শাস্তি স্বরূপ প্রথমে তাঁকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। তারপর অর্ধনগ্ন করে ঘোরানো হয় গোটা গ্রাম। কান্নাকাটি করে ক্ষমা চান তরুণী। তবে তাতেও মন গলেনি গ্রামবাসীর। এর পরিবর্তে কপালে জুটেছে মারধর। এমন অমানবিক ঘটনায় বাধা দেননি কেউই। অথচ পুরো ঘটনাটি স্মার্টফোনে ভিডিও করেন অনেকেই।
এই ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর তা নজরে আসে পুলিশের। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তাই আপাতত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ওই গ্রামে গিয়ে তরুণীর খোঁজ করেন তদন্তকারীরা। তবে অর্ধনগ্ন করে গোটা গ্রাম ঘোরানোর পর থেকে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন তরুণী এবং তাঁর বাবা। নির্যাতিতার আত্মীয়-পরিজনেরা পালিয়ে গেছেন। তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।