জুমবাংলা ডেস্ক : আন্তর্জাতিক বাজারে গত সপ্তাহে চিনির দাম বেড়েছিল। একপর্যায়ে তা বিগত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল। তবে গতকাল সোমবার (১৬ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল কন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) আবার ভোগ্যপণ্যটির দর কমেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আগামী মার্চের চিনির সরবরাহ মূল্য হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের দাম স্থির হয়েছে ২৭ দশমিক ০১ সেন্টে। আগের সপ্তাহে তা বেড়েছিল ১ শতাংশ।
একই কর্মদিবসে আসছে ডিসেম্বেরের সাদা চিনির দরপতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি মেট্রিক টনের দর নিষ্পত্তি হয়েছে ৭২৩ ডলার ১০০ সেন্টে।
ডিলাররা বলছেন, বিশ্বের অন্যতম প্রধান রপ্তানিকারক যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়তে পারে। একইসঙ্গে মেক্সিকোতেও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে সরবরাহ বাড়ার প্রত্যাশা জেগেছে। এতে সুগার মার্কেট চাপে পড়েছে।
অবশ্য বিশ্বের আরেক বৃহৎ সরবরাহকারী ভারতে উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডেও উৎপন্ন কম হতে পারে। এল নিনো আবহাওয়ার কারণে এ পরিস্থিতির উদ্রেক ঘটেছে। এতে দাম ধরে রেখেছে চিনি।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন লড়াই অব্যাহত রয়েছে। তাতে সরবরাহ নিম্নমুখী হওয়ার শঙ্কায় জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে আখ মাড়াই কলগুলো অধিক মুনাফা লাভের আশায় ইথানল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকেছে। ফলে চিনি তৈরি কমেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।