জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিখোঁজ কামরুজ্জামানের (৩০) গুলিবিদ্ধ মরদেহের সন্ধান মিলেছে ১৬ দিন পর। গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহের সন্ধান পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে চরআলগী ইউনিয়নের চর কামারিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চর কামারিয়া গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান (৩০)। তিনি সৌদি প্রবাসী মো. আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় ছেলে। কামরুজ্জামান দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা ছিলেন। মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে, বড় ছেলে প্রথম শ্রেণিতে ও ছোট ছেলের বয়স ছয় মাস।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত কামরুজ্জামান ঢাকার উত্তরায় থেকে ভাড়ায় প্রাইভেট গাড়ি চালাতেন। তবে কিছুদিন আগে তিনি পোল্যান্ড যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। এরই মাঝে আন্দোলন শুরু হলে গত ৪ আগস্ট তিনি উত্তরায় ছাত্রদের সঙ্গে মিছিলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হন। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করেও আমরা তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট তার মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে বলে জানা গেছে। এর আগে, গত ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে হাসপাতালের মর্গে অজ্ঞাত হিসেবে তার মরদেহ পড়ে ছিল।
কামরুজ্জামানের শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মর্গে পড়ে থাকা মরদেহের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে পরিচয় শনাক্তের পর পুলিশ আমাদের খবর পাঠায়। পরে মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে বাড়ি নিয়ে আসি। মরদেহের মাথা ও শরীরে আটটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্ত করে মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।