আন্দোলনে যাওয়ার পথে গণধর্ষণ তরুণীর করোনায় মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

ভারতের কৃষক আন্দোলনে যোগ দেয়ার সময় গণধর্ষণের শিকার হন সমাজকর্মী এক তরুণী। পরে ওই তরুণী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানা যায়।

সোমবার (১০ মে) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় চারজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রিয়ানার বাহাদুরগড় থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন নিহত তরুণীর বাবা।

যাদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাদের মধ্যে কিষাণ সোশাল আর্মির দুই সদস্য অনুপ এবং অনিল মালিকের নাম রয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ভারতের টিকরি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণী। তার সঙ্গেই ছিল অভিযুক্ত চারজন। পরে সীমান্তের ঠিক পাশেই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনার কিছুদিন পরেই ওই তরুণীর জ্বর আসে। এ জন্য করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় দিল্লির শিবম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তরুণীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। গত ৩০ এপ্রিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ওই তরুণীর মৃত্যুর বেশ কিছুদিন পরে বাহাদুরগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা। এরইমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে হরিয়ানা পুলিশ। বিষয়টি উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। তারা মৃত তরুণীর পাশে রয়েছেন বলেও জানিয়েছে। মোর্চার টিকরি কমিটির পক্ষ থেকে সেখানকার বিক্ষোভস্থলে থাকা কিষাণ সোশাল আর্মির সমস্ত পতাকা, তাঁবু, প্ল্যাকার্ড খুলে ফেলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিক্ষোভস্থলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।