জুমবাংলা ডেস্ক : চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনকারীদের সর্বাত্মক সমর্থন দিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ যোগ দিয়ে দেশে একটি গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য কারাবন্দি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বনানীর বাসভবনে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলন এখন শুধু শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কারণ অভিভাবক, চিকিৎসক ও বিভিন্ন পেশাজীবী, শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষ সব ভয় ভুলে এতে অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চলমান ছাত্র আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। আমি বিশ্বাস করি, জনগণ নিঃসন্দেহে বিজয়ী হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই আন্দোলনের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষ জেগে উঠেছে। ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছি এবং অবশেষে তারা জেগে উঠেছে। সেই কারণে এর সফলতার বিষয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। তরুণ ও শিক্ষার্থীরা জেগে উঠলে কোনো আন্দোলনই বিফলে যায় না।’
তিনি বলেন, চরম জালিম ও ফ্যাসিবাদী সরকার যেভাবে দেশের শিক্ষার্থী ও শিশুদের হত্যা করেছে তা অবর্ণনীয়।
‘তারা কয়েকশ ছাত্রকে হত্যা করেছে। আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি ৫৯ জনকে গণকবরে দাফন করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্বরতার দিক থেকে আওয়ামী লীগ সরকার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ‘এটা অকল্পনীয়।’
তিনি বলেন, তাদের দল শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছে এবং এখনও দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে আমরা তাদের শুধু সমর্থনই নয়, সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে তার দল যথাযথ ভূমিকা পালন করছে।’আমরা তা অব্যাহত রাখব।’
তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা দিতে দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগে তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য কারাবন্দি আরেক নেতা নজরুল ইসলাম খানের অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তথ্য পাচ্ছি, গ্রেপ্তার হওয়া সব রাজনৈতিক বন্দি (নজরুল ও খসরু) এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অমানবিক পরিস্থিতি সহ্য করছে।’
পরিবারের সদস্যরা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না বা প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিতে পারছেন না বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এটা বলা যেতে পারে যে তারা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। এই পরিস্থিতি অগ্রহণযোগ্য এবং কারাবিধি লঙ্ঘন করে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নজরুল ও খসরু দুজনই গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। ‘এমনকি ইনসুলিনসহ অত্যাবশ্যকীয় ওষুধও তাদের কাছে পাঠানো যাচ্ছে না।’
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এসব অমানবিক প্রথা বন্ধের জন্য কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ‘আপনারা অতীতে এটি করেছেন। দয়া করে এখনও এ একইরকম কাজ করবেন না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।