জীবনে নানা সময় নানা মানুষ আমাদের ঘনিষ্ঠজন হয়ে উঠেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই থাকেন, যাঁরা মানুষকে নিচ ও ছোট অনুভব করাতে তৎপর। তাঁরাই টক্সিক মানুষ। নিজের আত্মবিশ্বাস ও মানসিক স্বাস্থ্য অক্ষুণ্ন রাখতে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গী, বন্ধু বা ঘনিষ্ঠজন না বানানোই উচিত।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, আপনার জীবনে টক্সিক কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব রয়েছে কি না—
স্বার্থপরতা তাঁদের মধ্যে প্রবল।
তাই জীবনে টক্সিক কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব থাকা মানেই জীবন দুর্বিষহ। তাঁদের থেকে যত দ্রুত সম্ভব দূরত্বের রেখা টেনে নেওয়াই ভালো।
তাঁরা শুনতে চান না
টক্সিক ব্যক্তিরা অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে পছন্দ করেন না। খেয়াল করলে দেখবেন, এই ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণত যেকোনো কথোপকথনের সময় অন্যের মনোভাব প্রকাশে বাধা দেন, যা একসময় কথা বলার আগ্রহকেই নষ্ট করে দেন। তাঁরা শুধু নিজের কথাই বলবেন কিন্তু আপনাকে বলার সুযোগ দেবেন না।
এ ছাড়া টক্সিক ব্যক্তিদের মধ্যে সহানুভূতি কিংবা সহমর্মিতার অভাব থাকে। তাঁরা কখনোই কারও প্রতি সহানুভূতিশীল কিংবা সহমর্মী হন না। আপনার খারাপ সময়ে তাঁদের পাশে পাবেন না। তাঁরা কারও প্রতি দায়িত্বপরায়ণ এবং শ্রদ্ধাশীল হন না।
সর্বদা সমালোচক
আপনার যেকোনো মতামতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, সঠিক সিদ্ধান্তগুলোকেও ভুল প্রমাণের চেষ্টা। অর্থাৎ সব সময় অন্যের সমালোচনায় মগ্ন থাকা টক্সিক ব্যক্তিদের অন্যতম লক্ষণ। এমনকি, আপনার পোশাক, লুক, আচার-আচরণ সবকিছুতেই তাঁদের একটি রায় থাকবেই, যা আপনার আত্মবিশ্বাসকে ভেঙে দেবে। যদিও গঠনমূলক সমালোচনা খারাপ কিছু নয়, তবে সব সময় সব কিছু নিয়ে সমালোচনাও ভালো কিছু নয়। আপনার আশপাশে অবশ্যই এমন মানুষ থাকা উচিত, যাঁরা গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি আপনার ভালো কাজে আপনার প্রশংসাও করবে, যা আপনার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
অন্যকে অপমান করার চেষ্টা
টক্সিক ব্যক্তিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অন্যদের অপমান করা। তাঁরা যেকোনো সময় যে কারও সামনে আপনাকে অপমানসূচক কথা বলতে দ্বিধাবোধ করবে না। মোট কথা এই ধরনের ব্যক্তিরা অন্যকে সম্মান দিতে জানেন না। সব সময় অন্যদের ছোট করে কথা বলে থাকে। এমনকি তাঁদের কথায় কেউ আঘাত পেলেন কি পেলেন না, তাতেও তাঁদের কোনো কিছুই যায় আসে না, যা আপনাকে করে তুলতে পারে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। যদি কেউ আপনার সঙ্গে প্রায়শই এই ধরনের আচরণ করে থাকেন, সময় থাকতে এমন ব্যক্তি থেকে দূরে সরে যাওয়া উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।