Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর টিপস!
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর টিপস!

    লাইফস্টাইল ডেস্কMd EliasAugust 16, 202513 Mins Read
    Advertisement

    শীতের সকাল। ছোট্ট রাইয়ান জানালার ধারে বসে বাইরে উড়ন্ত পাখিদের দিকে তাকিয়ে আছে। তার সামনে খোলা আছে ইংরেজি গ্রামারের বই। কিন্তু তার চোখে সেই উৎসুক দৃষ্টি নেই, নেই পড়ার প্রতি কোন উৎসাহ – শুধু এক অবসাদ, এক গভীর অনীহা। তার মা, নুসরাত জাহান, দরজার ফাঁক থেকে এ দৃশ্য দেখে হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন। “কী করব? সারাক্ষণ বলতে বলতে ক্লান্ত, শাস্তি দিতে দিতে মন ভেঙে যায়। পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় খুঁজে ক্লান্ত।” নুসরাতের এই হতাশা, এই প্রশ্ন শুধু তার একার নয়। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ অভিভাবকের প্রতিদিনের সংগ্রাম এটি। পড়াশোনাকে শুধু বোর্ড পরীক্ষা পাশের একটি বোঝা বা ভবিষ্যতের চাকরির জন্য একটি বাধ্যতামূলক কর্তব্য হিসেবে দেখানো হলে, সেই আলোর উৎস সত্যিই নিভে যায়। কিন্তু এই আলোকে প্রজ্বলিত রাখা, আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানো সম্ভব – শুধু প্রয়োজন সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, ধৈর্য আর কিছু কার্যকরী কৌশলের।

    আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর টিপস

    পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরির মনস্তত্ত্ব: শিকড়ে পানি দেওয়া (আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর ভিত্তি)

    পড়াশোনায় জোর করা বা ভয় দেখানোর দিন শেষ। আধুনিক শিশু মনোবিজ্ঞান আমাদের শেখাচ্ছে, আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর মূল চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে অভ্যন্তরীণ অনুপ্রেরণা (Intrinsic Motivation) এর মধ্যে। এই অনুপ্রেরণা তখনই জন্ম নেয় যখন পড়াশোনাকে শিশু তার নিজের জন্য অর্থপূর্ণ, আনন্দদায়ক এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য বলে মনে করে। ড. মারিয়া মন্টেসরি বলতেন, “শিশুদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা আসে কাজটি সম্পন্ন করার আনন্দ থেকে, পুরস্কার পাবার আকাঙ্ক্ষা থেকে নয়।” বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, যেখানে পরীক্ষার ফলাফলের চাপ অত্যন্ত প্রবল, অভ্যন্তরীণ অনুপ্রেরণা গড়ে তোলা আরও গুরুত্বপূর্ণ।

    • কৌতূহলই জ্ঞানের ইঞ্জিন: প্রতিটি শিশুই জন্মগতভাবে কৌতূহলী। তারা জানতে চায়, বুঝতে চায়, আবিষ্কার করতে চায়। আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর প্রথম ধাপ হলো এই স্বাভাবিক কৌতূহলকে রক্ষা করা এবং পুষ্টি দেওয়া। যখন আপনার সন্তান “এটা কেন?”, “সেটা কীভাবে হয়?” জিজ্ঞেস করে, তাকে উড়িয়ে না দিয়ে উৎসাহিত করুন। একসাথে উত্তর খুঁজুন। উদাহরণস্বরূপ, বৃষ্টি কীভাবে হয় তা শুধু বইতে পড়ার বদলে, একসাথে একটা ছোট্ট পরীক্ষা করে দেখাতে পারেন (গরম পানি থেকে বাষ্প ওঠা, ঠান্ডা প্লেটে জলকণা জমা হওয়া দেখানো)। এটি তাত্ত্বিক পড়াকে বাস্তব জীবনের সাথে যুক্ত করবে।
    • নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি: কেউই এমন কিছুতে উৎসাহ বোধ করে না যা তাকে একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া হয় না। শিশুদেরও তাদের শেখার প্রক্রিয়ায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ ও পছন্দের সুযোগ দিন। হয়তো পড়ার সময়সূচী তৈরি করার সময় তাকে জিজ্ঞেস করুন, “তুমি আগে কোন বিষয়টা পড়তে চাও, ইংরেজি নাকি গণিত?” বা “আজ বিজ্ঞানের কোন অধ্যায়টা নিয়ে কাজ করব, তোমার কী ইচ্ছা?”। এমনকি পড়ার স্থান (বিছানা, ডেস্ক, বারান্দা) বা পদ্ধতি (আলাদা পড়া, মায়ের সাথে পড়া, অডিও বুক শোনা) বেছে নেওয়ার ছোট্ট সুযোগও তার মধ্যে দায়িত্ববোধ ও আগ্রহ তৈরি করবে। মনে রাখবেন, আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে তাদের ‘অধিকার’ ও ‘স্বাধীনতা’র অনুভূতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
    • উদ্দেশ্য ও প্রাসঙ্গিকতা: “এটা শিখে কী লাভ?” – শিশুর মনে এই প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। পড়াশোনাকে তার দৈনন্দিন জীবন, আগ্রহ এবং ভবিষ্যত স্বপ্নের সাথে যুক্ত করুন। যদি আপনার সন্তান ক্রিকেট পছন্দ করে, গণিতের হিসাব শেখানোর জন্য বলের গতি, রানের হিসাব, স্ট্রাইক রেটের মতো উদাহরণ দিন। যদি সে ছবি আঁকতে ভালোবাসে, ইতিহাসের পাঠকে গল্পের ছলে শোনান, কিংবা বিজ্ঞানের তত্ত্বকে তার আঁকার কাজে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা দেখান। দেখুন ঢাকার ‘ল্যাবএইড স্কুল’-এর মতো কিছু প্রতিষ্ঠান কিভাবে প্রজেক্ট-বেজড লার্নিং-এর মাধ্যমে পাঠ্যক্রমকে বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের সাথে যুক্ত করছে। পড়াশোনা যখন জীবনের সাথে প্রাসঙ্গিক মনে হবে, আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানো অনেক সহজ হবে।
    • কৃতিত্বের স্বীকৃতি, ভুলের সুযোগ: লক্ষ্য করুন ছোট ছোট অগ্রগতিকে। শুধু ‘এ+’ পাওয়ার জন্য নয়, বরং কঠিন একটি অঙ্ক নিজে থেকে সমাধান করার জন্য, একটি নতুন ইংরেজি শব্দ শেখার জন্য, অথবা আগের চেয়ে দ্রুত পড়া শেষ করার জন্য প্রশংসা করুন। এই প্রশংসা যেন খালি গালভরা কথা না হয়, বরং সুনির্দিষ্ট হয় (“বাহ! তুমি নিজে থেকে এই সমীকরণটা সমাধান করেছ, এটা দারুণ হয়েছে!”)। অন্যদিকে, ভুলকে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখান। ভুল করা মানেই ব্যর্থতা নয়, বরং উন্নতির পথে একটি ধাপ। আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর পথে এই মনোভাব ভীতি দূর করে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে।

    বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে বিশেষ বিবেচ্য: আমাদের সমাজে প্রায়শই ভাই-বোন বা প্রতিবেশীর সন্তানের সাথে তুলনা করা হয়। এই তুলনা শিশুর আত্মসম্মানবোধ ও পড়াশোনার প্রতি আগ্রহকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রতিটি শিশুই অনন্য। তার নিজের গতিতে, নিজের পদ্ধতিতে শেখার সুযোগ দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. এস. এম হাফিজুর রহমান তাঁর গবেষণায় বারবারই তুলনা ও অতিরিক্ত চাপের নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন। শিশুর সামর্থ্য ও আগ্রহকে প্রাধান্য দিন।

    বাস্তব জীবনে প্রয়োগ: পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর কার্যকরী কৌশল (আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর হাতেকলমে পদ্ধতি)

    মনস্তত্ত্ব বুঝে ফেললেই কাজ শেষ নয়। এই বোঝাপড়াকে দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে প্রয়োগ করবেন, সেটাই আসল চ্যালেঞ্জ। আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর জন্য এখানে কিছু প্রমাণিত, বাস্তবসম্মত কৌশল রয়েছে, যা বাংলাদেশের ঘরোয়া পরিবেশেও সহজেই বাস্তবায়ন করা যায়:

    1. পড়ার পরিবেশ তৈরি করুন, শুধু ‘পড়ার ঘর’ নয়:

      • শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য: পড়ার স্থানটি যথাসম্ভব শান্ত, পর্যাপ্ত আলো-বাতাসযুক্ত এবং আরামদায়ক হোক। টিভির আওয়াজ, ভাইবোনের চেঁচামেচি বা রান্নাঘরের শব্দ থেকে দূরে রাখুন। একটি নির্দিষ্ট ডেস্ক-চেয়ার বা পড়ার মাদুরের ব্যবস্থা করুন। চট্টগ্রামের এক অভিভাবক, ফারহানা আক্তার, তার সন্তানের পড়ার টেবিলে একটি ছোট্ট প্ল্যান্ট রেখেছেন, যা পরিবেশকে প্রাণবন্ত করে এবং সন্তানের দায়িত্ববোধ বাড়ায় (প্ল্যান্টের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব তাকেই দেওয়া হয়েছে)।
      • ব্যবস্থাপনা ও সহজলভ্যতা: বই, খাতা, পেন্সিল, রঙ পেন্সিল, ডিকশনারি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেন হাতের কাছে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো থাকে। সময় নষ্ট করে জিনিস খুঁজতে হবে না। একটি ছোট বুকশেলফ বা ট্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
      • ব্যক্তিগত স্পর্শ: শিশুকে তার পড়ার জায়গাটিকে নিজের মতো করে সাজানোর সুযোগ দিন – প্রিয় কার্টুন চরিত্রের স্টিকার লাগানো, নিজের আঁকা ছবি টাঙানো ইত্যাদি। এই জায়গাটি যেন তার নিজস্ব ও পছন্দসই হয়। এটি আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জায়গাটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
    2. পড়াকে গেম ও খেলায় রূপান্তর করুন:

      • বোর্ড গেম: সাপ-লুডু, ক্যারাম, দাবা – এসব গেম না শুধু মজাদার, বরং কৌশলগত চিন্তা, ধৈর্য্য ও গণিতীয় দক্ষতা বাড়ায়। ইংরেজি শব্দভাণ্ডার বাড়াতে স্ক্র্যাবল (Scrabble) বা বাংলা অক্ষর দিয়ে শব্দ তৈরি করার খেলা খেলতে পারেন।
      • ডিজিটাল লার্নিং অ্যাপস: সঠিকভাবে ব্যবহার করলে শিক্ষামূলক অ্যাপস বা গেমস দারুণ সহায়ক হতে পারে। বাংলাদেশি শিশুদের জন্য উপযোগী কিছু অ্যাপ আছে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান শেখার জন্য (যেমন: ‘ঘরে শিখি’, ‘Chimple’, ‘Khan Academy Kids’)। তবে স্ক্রিন টাইম সীমিত রাখুন এবং অভিভাবক তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করুন। আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর জন্য এগুলো মশলার মতো – অল্প অল্প ব্যবহারে স্বাদ বাড়ে।
      • কুইজ ও প্রতিযোগিতা: পড়া শেষে বা সপ্তাহান্তে ছোট ছোট কুইজ আয়োজন করুন। বিষয়বস্তু সম্পর্কে মজাদার প্রশ্ন করুন। ভাইবোন বা বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা হতে পারে। পুরস্কার হতে পারে একটু বাড়তি পকেট মানি, প্রিয় খাবার, বা একসাথে কোথাও বেড়াতে যাওয়া – যা শিশুর জন্য মূল্যবান।
      • নাট্যায়ন (Role Play): ইতিহাসের চরিত্র সাজা, বিজ্ঞানের পরীক্ষাগারকে কল্পনা করে নাটক করা, কিংবা ইংরেজি কথোপকথন চর্চা করা – পড়াকে জীবন্ত করে তোলে। সিলেটের এক শিক্ষক, রফিকুল ইসলাম, তাঁর ক্লাসে বিজ্ঞান পাঠকে নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
    3. পড়াকে সামাজিক ও সৃজনশীল কাজে পরিণত করুন:

      • পারিবারিক পাঠচক্র: সপ্তাহে একদিন বা মাসে একবার পারিবারিক পাঠচক্রের আয়োজন করুন। সকলে মিলে একটি গল্পের বই পড়ুন (প্রত্যেকে এক একটি পাতা পড়বে), কিংবা একটি জ্ঞানবর্ধক নিবন্ধ নিয়ে আলোচনা করুন। শিশুকে তার পড়া বিষয় নিয়ে পরিবারের সবার সামনে বলার সুযোগ দিন। এটি তার আত্মবিশ্বাস ও যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াবে। আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটি একটি শক্তিশালী পারিবারিক বন্ধন তৈরি করে।
      • প্রজেক্ট-ভিত্তিক শিখন: কোন একটি বিষয়কে গভীরভাবে বুঝতে প্রজেক্ট নেওয়া যেতে পারে। যেমন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়ার সময়, পরিবারের কোনো সদস্য বা প্রতিবেশীর কাছ থেকে সত্যিকারের অভিজ্ঞতা শুনে তা লিপিবদ্ধ করা, ছবি আঁকা বা একটি ছোট ভিডিও বানানো। অথবা, পরিবেশ বিজ্ঞান পড়ার সময় বাড়ির আশেপাশে গাছপালা চেনা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের একটি ছোট মডেল তৈরি করা। এই কাজগুলো তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তবিক ও স্পর্শযোগ্য করে তোলে।
      • সৃজনশীল প্রকাশ: পড়া বিষয়কে লেখা, ছবি আঁকা, কবিতা লেখা, গান বানানো বা নাচের মাধ্যমে প্রকাশ করতে উৎসাহিত করুন। গণিতের জ্যামিতি শেখার পর বিভিন্ন আকৃতি দিয়ে ছবি আঁকা, বিজ্ঞানের কোনো প্রক্রিয়াকে কাব্যিকভাবে বর্ণনা করা – এগুলো শেখাকে গভীর করে এবং স্মৃতিতে দীর্ঘস্থায়ী করে। খুলনার লিটল স্টার স্কুলে এই পদ্ধতির ব্যবহার করে শিশুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে।
    4. অভিভাবক হিসেবে আপনার ভূমিকা: সহযাত্রী হওয়া, সেনাপতি নয়

      • সাথে বসুন, শুধু তদারকি নয়: শুধু “পড়ছিস তো?” জিজ্ঞেস করার বদলে, কিছু সময় তার পাশে বসুন। তাকে পড়তে শুনুন। কঠিন শব্দ বা ধারণা বোঝাতে সহায়তা করুন। আপনার আগ্রহ দেখলে তারও আগ্রহ বাড়বে। এটি আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার – আপনার অংশগ্রহণ।
      • গল্প বলুন, প্রশ্ন করুন: শুধু পাঠ্যবই নয়, আপনার নিজের শেখার অভিজ্ঞতা, জীবনের পাঠ, বিভিন্ন বিষয়ে জানার আগ্রহের গল্প শেয়ার করুন। তাকে উন্মুক্ত প্রশ্ন করুন যা শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ তে উত্তর দেওয়া যায় না, বরং তাকে ভাবতে এবং ব্যাখ্যা করতে বাধ্য করে (“এই গল্পের চরিত্রটা কেন এমন করল বলে তুমি মনে কর?”, “এই পরীক্ষার ফলাফল থেকে আমরা কী শিখলাম?”)। এই সংলাপ জ্ঞানের গভীরতা বাড়ায়।
      • বাস্তবিক প্রত্যাশা: প্রতিটি শিশুর শেখার গতি ও ক্ষমতা ভিন্ন। আপনার সন্তানের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রত্যাশা রাখুন। তাকে অসম্ভব লক্ষ্য ধার্য করে হতাশ করবেন না। ছোট ছোট সাফল্যকেই উদযাপন করুন। ক্রমাগত অগ্রগতিই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া নয়। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (Directorate of Primary Education – https://dpe.gov.bd/) নির্দেশনাগুলোতেও শিশু-কেন্দ্রিক শিক্ষা ও ব্যক্তিগত পার্থক্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
      • অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হোন: আপনি যদি সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন বা কখনো বই হাতে নেন না, কিন্তু সন্তানকে পড়তে বলেন, তা বিশ্বাসযোগ্য হয় না। আপনার নিজের জ্ঞানপিপাসা, বই পড়ার অভ্যাস, নতুন কিছু শেখার চেষ্টা – সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। সে দেখবে যে শেখা শুধু স্কুলের জন্য নয়, সারাজীবনের জন্য।
    5. বিরতি, খেলাধুলা ও বিশ্রামের গুরুত্ব: একটি শিশুর মস্তিষ্ক দীর্ঘ সময় ধরে একটানা পড়ালেখা করার জন্য তৈরি নয়। পড়ার মাঝে ছোট ছোট বিরতি (প্রতি ৩০-৪৫ মিনিট পর ৫-১০ মিনিট) দিন। এই সময়ে সে হাঁটতে পারে, কিছু খেতে পারে, একটু লাফালাফি করতে পারে। পর্যাপ্ত শারীরিক খেলাধুলা, বিশেষ করে বাইরে খোলা জায়গায় খেলা, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ায়, চাপ কমায় এবং মনোযোগ বাড়ায়। ঢাকার রমনা পার্ক বা আপনার এলাকার খোলা মাঠে খেলার সুযোগ তৈরি করুন। পর্যাপ্ত ঘুমও অপরিহার্য। ক্লান্ত মস্তিষ্ক শিখতে পারে না। আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর জন্য তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার দিকে সমান নজর দিন।

    বিশেষ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা: যখন আগ্রহ একেবারেই তলানিতে

    কখনও কখনও শিশুর পড়াশোনার প্রতি অনীহা এতটাই তীব্র হয় যে সাধারণ কৌশলও কাজ করে না। হয়তো কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে (যেমন গণিত বা ইংরেজি) তীব্র ভীতি বা অনীহা কাজ করে। কিংবা পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় খুঁজেও পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে:

    • মূল কারণ খুঁজে বের করুন: সন্তানের সাথে ধৈর্য্য সহকারে খোলামেলা আলোচনা করুন। স্কুলে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা (বুলিং, শিক্ষকের সাথে সমস্যা)? পড়ার পদ্ধতি বুঝতে সমস্যা হচ্ছে? নাকি শেখার কোন বিশেষ অসুবিধা (লার্নিং ডিসঅ্যাবিলিটি) আছে? লক্ষ্য রাখুন তার আচরণে। কোন বিষয়ে পড়তে বসলে সে অস্বস্তি বোধ করে বা এড়িয়ে চলে?
    • পেশাদার সাহায্য নিন: যদি সন্দেহ হয় শেখার বিশেষ অসুবিধা (ডিসলেক্সিয়া, ডিসক্যালকুলিয়া, ADHD) থাকতে পারে, তবে স্কুলের কাউন্সেলর বা শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ/মনোবিদের পরামর্শ নিন। বাংলাদেশে এখন ঢাকা শিশু হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিশু বিকাশ বিশেষজ্ঞ আছেন। প্রাথমিকভাবে স্কুলের শিক্ষকদের সাথেও কথা বলুন। তারা ক্লাসে শিশুর আচরণ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য দিতে পারেন। আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টায় বাধার কারণ জানাটাই প্রথম পদক্ষেপ।
    • টিউটরের ভূমিকা: অনেক সময় ক্লাসে শিক্ষক যা বুঝিয়েছেন, তা আবার অন্য ভাবে বুঝিয়ে দিলে শিশুর বোঝার সুবিধা হয়। একজন ধৈর্যশীল ও অভিজ্ঞ টিউটর সাহায্য করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন, টিউটর শুধু গৃহকাজ করিয়ে দেওয়ার যন্ত্র না হন। তার কাজ হওয়া উচিত ধারণা পরিষ্কার করা এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা। টিউটরের উপর পুরো দায়িত্ব চাপিয়ে দেবেন না, আপনার ভূমিকা অপরিহার্য।
    • দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি: মনে রাখবেন, আগ্রহ ফিরে পাওয়া রাতারাতি হয় না। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ধৈর্য্য ধরে কৌশলগুলো প্রয়োগ করতে থাকুন। ছোট ছোট ইতিবাচক পরিবর্তনকে স্বীকৃতি দিন। একদিন হঠাৎ করেই আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সন্তান নিজের আগ্রহে বই হাতে নিয়ে বসেছে।

    স্কুল ও শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক: একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা

    আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর এই যাত্রায় স্কুল এবং শিক্ষকগণ আপনার মূল মিত্র। তাদের সাথে ইতিবাচক ও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা জরুরি।

    • শিক্ষক-অভিভাবক সভায় সক্রিয় অংশগ্রহণ: শুধু ফলাফল শোনার জন্য নয়, বরং আপনার সন্তানের শেখার ধরণ, শক্তি এবং দুর্বলতাগুলো সম্পর্কে শিক্ষকদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন। জিজ্ঞেস করুন, কিভাবে বাড়িতে তাকে সাহায্য করতে পারেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া টিপস বাড়িতে প্রয়োগ করুন।
    • শিক্ষকদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করুন: স্কুল যদি বিশেষ কোনো কার্যক্রম (যেমন: বিজ্ঞান মেলা, সাহিত্য সন্ধ্যা, শিক্ষা সফর) আয়োজন করে, সেখানে আপনার সন্তানকে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন এবং নিজেও সম্ভব হলে অংশগ্রহণ করুন। এটি দেখাবে যে আপনি শেখাকে গুরুত্ব দেন।
    • ইতিবাচক যোগাযোগ: কোন সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে তা সম্মানজনক ও গঠনমূলকভাবে শিক্ষকের সাথে আলোচনা করুন। শিক্ষকের সাথে ভালো সম্পর্ক সন্তানের স্কুলে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করে। সিলেটের সেন্টার পয়েন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা, সেলিনা আক্তার, অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত ওপেন কমিউনিকেশনের উপর বিশেষ জোর দেন।

    জেনে রাখুন (FAQs)

    1. প্রশ্ন: আমার সন্তানের পড়াশোনায় একদমই মনোযোগ নেই, পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় কী?
      উত্তর: মনোযোগের অভাবের পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে – বিরক্তি, বুঝতে না পারা, শারীরিক ক্লান্তি বা শেখার অসুবিধা। প্রথমে কারণ খুঁজে বের করুন। পড়ার সময়কে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করুন (২০-৩০ মিনিট), মাঝে ছোট বিরতি দিন। পড়ার পরিবেশ শান্ত করুন, বিক্ষেপক জিনিস (মোবাইল, টিভি) দূরে রাখুন। পড়াকে গেম বা ইন্টারেক্টিভ করে তুলুন। তার আগ্রহের বিষয়ের সাথে পড়াকে যুক্ত করার চেষ্টা করুন। ধৈর্য্য ধরুন এবং ছোট অগ্রগতির প্রশংসা করুন। প্রয়োজনে শিক্ষক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    2. প্রশ্ন: বাচ্চারা পড়ার সময় মোবাইল বা টিভির প্রতি আসক্ত, কী করব? পড়ায় মন বসানোর উপায় আছে?
      উত্তর: স্ক্রিন আসক্তি পড়াশোনার অন্যতম বড় বাধা। প্রথমে নিজেরা রোল মডেল হোন, বাড়িতে নির্দিষ্ট ‘স্ক্রিন-ফ্রি সময়’ (যেমন: রাতের খাবারের পর, পড়ার সময়) নির্ধারণ করুন। পড়ার সময় মোবাইল অন্য ঘরে রাখার নিয়ম করুন। বিকল্প হিসেবে আকর্ষণীয় বই, পাজল, বোর্ড গেম, বাইরে খেলাধুলা বা পারিবারিক সময়ের ব্যবস্থা করুন। স্ক্রিন টাইম কমাতে বাচ্চাকে পুরস্কৃত করুন (স্ক্রিন-ফ্রি দিনের জন্য বিশেষ কিছু করা)। পড়ার বিষয়কে ইন্টারেস্টিং ও ইন্টারেক্টিভ উপায়ে উপস্থাপন করুন যাতে তার মনোযোগ টিভি/মোবাইলের চেয়ে সেদিকেই যায়।

    3. প্রশ্ন: আমার সন্তান শুধু গণিতেই দুর্বল, গণিতের প্রতি ভীতি দূর করার উপায় কী? পড়াশোনায় আগ্রহ ফিরে পেতে গণিতে কী করব?
      উত্তর: গণিত ভীতি খুব সাধারণ। প্রথমে ধৈর্য্য ধরুন এবং চাপ দেবেন না। গণিতকে ভয়ের বিষয় না বানিয়ে, দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিলিয়ে শেখান – বাজার করা, রান্নার মাপজোক, খেলার স্কোরিং, সময় দেখা ইত্যাদি। ছোট ছোট সাফল্য দিয়ে শুরু করুন, জটিল সমস্যা সামনে ধরবেন না। ভিজ্যুয়াল এইড ব্যবহার করুন (লেগো ব্লক, ফল, মুদ্রা)। গণিত গেম (যেমন: সাডোকু, দাবা, গণিতের পাজল) খেলতে উৎসাহিত করুন। তার ভুলগুলোকে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখান, ব্যর্থতা হিসেবে নয়। একজন ধৈর্যশীল টিউটর বা শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারেন।

    4. প্রশ্ন: বাচ্চাকে পড়ানোর সময় নিজের রাগ সামলাতে পারি না, তার পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াতে গিয়ে নিজেই হতাশ হয়ে যাই। কী করব?
      উত্তর: অভিভাবক হিসেবে আপনার অনুভূতি স্বাভাবিক। নিজের যত্ন নেওয়া জরুরি। যখন খুব রাগ বা হতাশা আসে, একটু বিরতি নিন। গভীর শ্বাস নিন, অন্য ঘরে চলে যান। মনে রাখবেন, রাগ দেখালে বা বকাঝকা করলে শিশুর ভীতি বাড়ে এবং পড়ার প্রতি অনীহা বাড়ে। অন্য অভিভাবক, বন্ধু বা পারিবারিক সদস্যের সাথে কথা বলুন। আপনার নিজের জন্য কিছু সময় বের করুন, যা আপনাকে রিল্যাক্স করে। সন্তানের সাথে ইতিবাচক মুহূর্তগুলোকে (যে ছোট্ট সময় সে চেষ্টা করল, যে প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করল) স্মরণ করুন। প্রয়োজনে প্যারেন্টিং কাউন্সেলিং নিতে পারেন। আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর পথে আপনার মানসিক সুস্থতা অপরিহার্য।

    5. প্রশ্ন: বাচ্চা প্রাইমারিতে ভালো ছিল, মাধ্যমিকে এসে পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কীভাবে আবার আগ্রহী করব?
      উত্তর: মাধ্যমিক স্তরে পড়ার চাপ, জটিলতা এবং কৈশোরের শারীরিক-মানসিক পরিবর্তন একসাথে আসে। প্রথমে তার সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন – নতুন ক্লাসে কেমন লাগছে, কোন বিষয় কঠিন লাগছে, স্কুলে কোন সমস্যা আছে কিনা। পড়াশোনার চাপ কমাতে সাহায্য করুন, বাস্তবিক প্রত্যাশা রাখুন। তার আগ্রহের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিন এবং সেগুলোর সাথে অ্যাকাডেমিক পড়াকে যুক্ত করার চেষ্টা করুন। তাকে তার শেখার পদ্ধতি বেছে নিতে দিন (নোট তৈরি, গ্রুপ স্টাডি, ভিজ্যুয়াল ম্যাপ ইত্যাদি)। স্বাধীনতা ও দায়িত্বের ভারসাম্য রক্ষা করুন। পড়াশোনার পাশাপাশি তার শখ, বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো বা বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তাকেও সম্মান করুন। প্রয়োজনে স্কুলের কাউন্সেলরের সাথে কথা বলুন।

    পড়াশোনার আলো জ্বালানো কোনো একরাতের কাজ নয়; এটি এক ধৈর্যশীল, প্রেমময়, এবং উদ্ভাবনী যাত্রা। প্রতিদিনের ছোট ছোট পদক্ষেপ – একটি উৎসুক প্রশ্নের জবাব দেওয়া, একটি কঠিন অঙ্কে পাশে বসা, তার পছন্দের বিষয় নিয়ে আগ্রহ দেখানো, কিংবা শুধুই ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করা – এসবই আপনার সন্তানের মনে সেই অমূল্য দীপশিখা প্রজ্বলিত করতে পারে যা তাকে আজীবন আলোর পথ দেখাবে। আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ানোর এই কৌশলগুলো যখন প্রেম, বোঝাপড়া এবং অটুট বিশ্বাসের সাথে প্রয়োগ করবেন, তখন পড়াশোনা শুধু স্কুলের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, পরিণত হবে জীবনের প্রতি কৌতূহল, জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা এবং নিজের সম্ভাবনাকে আবিষ্কারের এক সুন্দর অভিযানে। শুরু করুন আজই – আপনার শিশুর চোখে জ্ঞানের সেই উজ্জ্বল দীপ্তি ফিরিয়ে আনুন, একটু সময়, একটু প্রচেষ্টা আর অনেকটা ভালোবাসা দিয়ে।


    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘গাইড’, parenting অভ্যাস আগ্রহ আনন্দ আপনার উপকরণ ওঠার টিপস কার্যক্রম কৌশল টিপস নির্দেশনা পড়াশোনা: পড়াশোনায় প্রভা বাচ্চাদের বাড়ানোর বৃদ্ধি মনোযোগ। মানসিকতা লাইফস্টাইল শিক্ষা শিক্ষার পদ্ধতি সাফল্য
    Related Posts
    বিয়ে

    বাংলাদেশের যে জায়গায় নিজের মেয়েকেই বিয়ে করা হয়

    August 17, 2025
    কচি আমপাতা

    আঁচিল থেকে চিরতরে মুক্তি দেবে কচি আমপাতা

    August 17, 2025
    বিবাহিত পুরুষ

    নারীরা কেন বিবাহিত পুরুষদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হন

    August 17, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Coolie vs War 2

    Coolie vs War 2 Box Office Day 4: Rajinikanth’s Actioner Outpaces Hrithik Roshan’s Spy Sequel

    Shah Rukh Khan

    অবসরের প্রশ্নে যা জানালেন শাহরুখ খান

    দুই দম্পতি

    কোন বৈধ সম্পর্ক ছাড়াই শাহিদ রাতভর কারিনার সঙ্গে কাটান

    দুই দম্পতি

    একই সাথে দুই দম্পতির বসবাস, কোন সন্তানের বাবা কে জানেন না কেউ

    রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়াকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

    Rain

    মহাশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এরিনের সর্বশেষ অবস্থান জানা গেল

    আইবিটিআরএ-তে বাফেডা’র ৫ দিনব্যাপী কর্মশালা শুরু

    ওয়েব সিরিজ

    উল্লুতে মুক্তি পেল সাহসী ওয়েব সিরিজ ‘সিয়াপা’, যা মিস করা যাবে না!

    erin projected path

    Hurricane Erin’s Projected Path: What to Expect Next as Storm Shifts in the Atlantic

    বিয়ে

    বাংলাদেশের যে জায়গায় নিজের মেয়েকেই বিয়ে করা হয়

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.