স্পোর্টস ডেস্ক: আগামীকাল থেকে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। সফরকারী আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের জয় পেলেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের চূড়া ছোঁবে বাংলাদেশ। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যাবে তামিমের দল। আর বাংলাওয়াশ করা গেলে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়েও বাংলাদেশের উন্নতি হবে।
ওয়ানডে সুপার লিগে ১৫ ম্যাচে ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে ইংল্যান্ড। তার ঠিক পরেই বাংলাদেশ। ১২ ম্যাচ খেলা বাংলাদেশের ঝুলিতে ৮০ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ খেলে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ভারত।
আফগানদের বিপক্ষে অন্তত দুই ম্যাচ জিতলেই ২০ পয়েন্ট বাংলাদেশের পকেটে। ১০০ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডকে টপকে এক নম্বরে উঠবে টাইগাররা। তিন ম্যাচ জিতলে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হবে আরো পোক্ত। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে বাংলাদেশকে অবশ্যই ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে অন্তত ৮-এর মধ্যে থাকতে হবে।
এদিকে রশিদের লেগস্পিনের সঙ্গে মোহাম্মদ নবি ও মুজিব উর রহমানের অফস্পিনও বেশ ভোগাতে পারে তামিম-সাকিবদের। এ বিষয়টি যে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের মাথায় বেশ ভালোমতোই আছে, সেটা টের পাওয়া গেছে গত রোববার চট্টগ্রামে টাইগারদের প্রথম অনুশীলন সেশন দেখেই। নেটে মুশফিক-লিটনদের বেশির ভাগ সময়ই স্পিনের বিপক্ষে ব্যাট করতে দেখা গেল। মিরাজ, নাসুম, রিয়াদ, আফিফরা তো স্পিন করেছেনই, ছিলেন লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও রিশাদ হোসেন। রশিদের লেগস্পিন মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবেই যে দুই তরুণ লেগিকে নেটে ডাকা হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দুই লেগস্পিনারের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় ওপেনার লিটনকে নেটের পাশে দাঁড়িয়ে অনেক পরামর্শও দিয়েছেন জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সফল দুই স্পিনার মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খান। অফস্পিনার নবি ৮ ম্যাচে ২৫.৯১ গড়ে নিয়েছেন ১২ উইকেট। রশিদ ৬ ম্যাচে ২২.২০ গড়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন। ৩ ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়া মুজিবের গড় বরং তাদের দু’জনের চেয়ে ভালো। তবে আফগান স্পিনারদের মাহাত্ম্য এই পরিসংখ্যানে পুরোপুরিভাবে ফুটে উঠবে না। বরং বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তান যে তিনটি ওয়ানডে জিতেছে, সেগুলোতে তাদের বোলিং দেখলেই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে আফগানরা সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে জিতেছিল। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সেদিন রশিদ-নবি-মুজিব রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং। ৯ ওভারে তিনটি মেডেনসহ মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে সেখানে নেতৃত্বে ছিলেন রশিদ খান। ২০১৬ সালে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এই রশিদ-নবিরাই আফগানদের ২ উইকেটে জয়ের ভিত তৈরি করেছিলেন। ওই ম্যাচে রশিদ ৩৫ রানে ৩ উইকেট ও নবি ১০ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ২০৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছিলেন।
৩৭ বছর বয়সী নবির বলের ধার কিছুটা হলেও কমেছে। তবে রশিদ দিনে দিনে শাণিত হচ্ছেন। ২৩ বছর বয়সী এ লেগি যে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন, সেটা পিএসএলে তার ফর্ম দেখেই বোঝা যায়। পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে ৯ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। রান-বন্যার ওই টুর্নামেন্টে ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৬.২৫ করে। ৯ ম্যাচের মধ্যে উইকেটশূন্য ছিলেন মাত্র এক ম্যাচে। ৯ ম্যাচের ৬টি জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লাহোরের দ্বিতীয় স্থানে থাকার পেছনেও অন্যতম অবদান রশিদের। ছন্দে আছেন মুজিবও। বিপিএলে ফরচুন বরিশালের ফাইনালে ওঠার পেছনে তার অবদান রয়েছে। সাকিবের সঙ্গে তার স্পিন জুটি এবারের বিপিএলের অন্যতম সেরা ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।