
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে ছয় প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠকে ইরান বলেছে, আফগানিস্তানের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের মাধ্যমে দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে গতরাতে (বুধবার রাতে) একথা জানিয়ে বলেন, আফগান জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে কীভাবে দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা যায় তা নিয়েই মূলত বুধবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। খবর পার্সটুডে’র।
বৈঠকে ইরান, পাকিস্তান, চীন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
ভার্চুয়াল বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান যে বক্তব্য দেন সে সম্পর্কেও সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন খাতিবজাদে। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বৈঠকে বলেছেন, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি দেশটিতে আমেরিকার গত দুই দশকের অবৈধ উপস্থিতির ফল। এখন এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আফগান নেতৃবৃন্দকে সর্বোচ্চ প্রজ্ঞা কাজে লাগাতে হবে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোকেও এ কাজে কাবুলকে সহযোগিতা করতে হবে।
বৈঠকে আব্দুল্লাহিয়ান আরো বলেন, আফগানিস্তানে বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপ এমন একটি ভুল সমসাময়িক ইতিহাসে কয়েকবার যার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। কাজেই আফগানিস্তানে যাতে আবার কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ হতে না পারে সেজন্য প্রতিবেশী দেশগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকারী তালেবানকে এখন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে হবে।
খাতিবজাদে জানান, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পরবর্তী বৈঠক তেহরানে অনুষ্ঠিত হবে বলে বুধবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি, তুর্কমেনিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রশিদ মারদোভ, তাজিকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন মেহরুদ্দিন এবং উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুলআজিজ কামেলোভ অংশগ্রহণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।