স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট সামর্থ্য আর ঐতিহ্যের দিক দিয়ে আফগানিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজটা যখন টি-টোয়েন্টির, তখন এই এগিয়ে থাকার কোনো ভূমিকা নেই। আফগানরা যে ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাটটাতে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে। যে কারণে মনে করা হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

তবে বিপিএলের পারফরম্যান্স বিচারে দুই দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অবশ্য জায়গা করে নিতে পারেন বেশ কজন ক্রিকেটার
আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তামিম ইকবালের। তবে তিনি থাকছেন না টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে। তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন সেটা নিয়ে এখনও নির্বাচকরা কিছু জানাননি। ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে চলতি আসরে তামিমের পরে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান এনামুল হক বিজয়ের। রানে ফিরেছেন সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাসও। তবে আলাদা করে নজর কেড়েছেন ফরচুন বরিশালের মুনিম শাহরিয়ার। সংস্করণটা ভিন্ন হলেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো মাহমুদুল হাসান জয় আফগান সিরিজে দলে জায়গা পেলেও পেতে পারেন।
পুরোনোদের মধ্যে যদি কাউকে সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে সে জায়গাটা নতুন করে পেতে পারেন এনামুল হক বিজয়। চলতি বিপিএলে সিলেট সানরাইজার্স ব্যর্থ হলেও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন বিজয়। ৮ ম্যাচে ৩১ গড়ে তিনি করেছেন ২৪৮ রান। স্ট্রাইকরেটটাও ১২১ এর উপরে। খেলেছেন সর্বোচ্চ ৭৮ রানের ইনিংস।
আফগান টি-টোয়েন্টি সিরিজে যদি বিসিবি চমক নিয়ে হাজির হন, তাহলে সে চমকের শিরোনাম হতে পারে মুনিম শাহরিয়ার। চলতি বিপিএলে মাত্র তিন ম্যাচ খেললেও মারমুখী ব্যাটিংয়ে ইতোমধ্যে নজরে এসেছেন সবার। ৩ ম্যাচে ৯৭ রান করা মুনিমের স্ট্রাইকরেটটা ১৭৬ এর বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেমন ব্যাটার আসলে দেশের প্রয়োজন।
দেশি ওপেনারদের মধ্যে তামিম, বিজয়ের পরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান মাহমুদুল হাসান জয়ের। ৬ ম্যাচে ৩৩ গড়ে তার রান সংখ্যা ১৬৫। ১২৫ স্ট্রাইরেটে চলতি বিপিএলে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৬৫। লিটন, সৌম্যের মধ্যে কাকে আবার সুযোগ দেয়া হবে সে প্রশ্নে এগিয়ে লিটন। ৫ ম্যাচে ২৫.২০ গড়ে তার রান সংখ্যা ১২৬। সৌম্য থেকে তিনি এগিয়ে স্ট্রাইরেটের দিক থেকে। লিটন যেখানে ১৩২ স্ট্রাইরেটে ব্যাট করেছেন, সেখানে সৌম্যের স্ট্রাইকরেট ১১৫ এর কাছাকাছি। সৌম্য অবশ্য ৬ ম্যাচে ২৮ গড়ে করেছেন ১৪০ রান। দুজনেই আসরে একটি করে ফিফটির দেখা পেয়েছেন।
নতুন করে আলোচনায় আসা ইমরুল কায়েস অবশ্য স্ট্রাইকরেটে তাদের চেয়ে এগিয়ে। ১৩৪ স্ট্রাইকরেটে ৭ ম্যাচে তার রান সংখ্যা ১৫২। ৮১ রানের একটি ইনিংস ছাড়া বলার মতো তার আর বড় কোনো ইনিংস নেই।
এদিকে নির্বাচক হাবিবুল বাশার তার দল ভাবনা নিয়ে জানান, এক দুই ম্যাচ ভালো করা কাউকে তারা দলে নেবেন না। বরং বিপিএলের সঙ্গে ঘরোয়া লিগের পারফরম্যান্স পরখ করে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন। অবশ্য ১১ বছর পর বাংলাদেশে পা রাখা জেমি সিডন্সকে নিয়ে বিপিএলের সব ম্যাচ পর্যবেক্ষণ করছেন বাশার। তাদের চোখে কারা দলের যোগ্য সেটা জানা যাবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।