আবরার হত্যাকাণ্ডে শাওনের আবেগঘন স্ট্যাটাস

123জুমবাংলা ডেস্ক : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ’ত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সারাদেশ। সেই প্রতিবাদি মিছিলেই সামিল হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। গত রোববার দিবাগত রাতে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা পি’টিয়ে তাকে মে’রে ফেলে। ওই দিন রাত ৩টায় বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে তার লা’শ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আববার হ’ত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে এক দীর্ঘ স্টাটাস দিয়েছেন মেহের আফরোজ শাওন লিখেছেন, ‘বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ‘৬৯ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন আমার বাবা। সারাজীবন তার মুখে গর্বের সাথে উচ্চারিত হওয়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হবার স্বপ্ন ছিল আমারও। ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম তোলার সময় ঢাকার বাইরে থাকায় পরীক্ষা-ই দিতে পারিনি আমি! সেই দু:খ ভোলার জন্য প্রায়ই ভেবেছি পুত্রদ্বয়ের যেকোনো একজন যেন এই মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদার হতে পারে।

এই প্রতিষ্ঠানের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ছাত্র ছিল আবরার। আবরার এর কথা ভাবি আর আমার পুত্রদ্বয়ের মুখের দিকে তাকাই। আমার বুক কাঁপে। বাচ্চাদু’টোর পিঠ হাত-পা’র উপর হাত বুলিয়ে দেই। ছোটবেলায় এরকম ছোট ছোট হাত পা-ই তো ছিল আবরারের! তার মা কতরাত পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে তাকে!

একেকটা আঘাতে ছেলেটা কি ‘মা গো’ বলে চিৎকার দিয়েছিল? ‘মা গো’ ডাক শুনে খু’নী ছেলেগুলোর কি একটুও নিজের মা’এর কথা মনে পড়েনি। ঠিক কতবার। কতক্ষণ ধরে, কতটুকু আঘাত করলে ২০/২১ বছরের একটা তরুণ ছেলে মরেই যায়। আমি আর ভাবতে পারি না।

ফেসবুকে আবরারের পিঠটার ছবি দেখলাম। কি ভয়ংকর। কি নৃশংস। কি কষ্ট। এই ছবিটা যেন তার বাবা-মা’র চোখে না পড়ে। ভুল বলেছি। আবরারের বাবা, আবরারের মা তাদের বাবুটার ক্ষতবিক্ষত পিঠে হাত বুলিয়ে যেন অভিশাপ দেন মানুষের মতো দেখতে খু’নী অমানুষগুলোকে। তাদের অভিশাপে যেন ধ্বংস হয়ে যায় এই অসুস্থ সমাজ।

নুসরাতকে ভুলে গিয়েছি। আবরারকেও ভুলে যাব বিচার চাই বলে লাভ আছে কিনা জানিনা তবুও বিচার চাই।’

Write a Comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *