জুমবাংলা ডেস্ক : দেশব্যাপী আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ’ত্যা মা’মলার আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়নের গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। জিয়ন মিঠাপুকুরের দূর্গাপুর ধলারপাড় গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তার বাবা পেশায় একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। সে বুয়েটের নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। গত সোমবার মেফতাহুল ইসলাম জিয়নকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরবার হ’ত্যাকাণ্ডের পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে হ’ত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সঙ্গে তাকে দেখা গেছে। জিয়ন ২০১৪ মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর ঢাকার একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর সে বুয়েটে ভর্তি হন।
এদিকে জিয়নের গ্রামের মানুষজন জানান, জিয়নের পরিবার খুবই সাদামাটা জীবন-যাপন করে। তার বাবা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়। গ্রামে কোনো অপকর্মের সঙ্গে জিয়ন জড়িত না থাকলেও বুয়েটে ভর্তির পর থেকে সে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ছাত্র রাজনীতির কারণে জিয়ন এমন নারকীয় হ’ত্যাযজ্ঞে অংশ নেয় বলে মনে করছেন গ্রামবাসী। সচেতন মহলসহ স্থানীয়রা ওই হ’ত্যাকাণ্ডে জিয়ন জড়িত থাকায় তাকে ধিক্কার জানিয়েছে। একই সাথে পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জিয়নসহ জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ হ’ত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ বুয়েট ছাত্রলীগের ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।