আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিপাইনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানা ক্রান্তীয় ঝড় ট্রামির প্রভাবে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে এখনো নিখোঁজ আছেন বহু মানুষ। নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন। রবিবার দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা ট্রামির আঘাতে হতাহতের এই সংখ্যা জানিয়েছেন।
সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ট্রামির আঘাতে এবং তার ফলে সৃষ্ট প্রবল বর্ষণ-বন্যা-ভূমিধসে ফিলিপাইনের বিকোল এবং বাতাঙ্গাস প্রদেশে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাতাঙ্গাস প্রদেশ। ভূমিধসের পর প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকায় কাঁদা ও মাটি জমে শক্ত হয়ে গেছে। এসব ধ্বংসস্তুপ থেকে কাদা ও মাটি সরিয়ে খোঁজা হচ্ছে মৃতদেহ।
গত বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে ট্রামি। ঝড়ের কারণে বন্যা ও ভূমিধস হয়। শুক্রবার ভোরে ট্রামি ফিলিপাইন থেকে পশ্চিমে সরে যায় দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে। এরপরেই মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে এবং নতুন করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার একটি সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, বন্যার মুখে এক লাখ ৯৩ হাজার লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে এবং ঝড়ের ফলে আলগা হয়ে যাওয়া আগ্নেয়গিরির পলিতে কিছু শহর ডুবে গেছে। উপদ্বীপে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সেখানে বন্যার কারণে অন্তত ৩০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেখানে রাস্তাগুলো প্লাবিত হয়ে নদীর মতো হয়ে গেছে। ঝড়ের কারণে উত্তর ফিলিপাইনে স্কুল ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ অঞ্চলের ঝড়গুলো ক্রমবর্ধমানভাবে উপকূলরেখার কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে এবং আরও তীব্র হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রায় ২০টি বড় ঝড় এবং টাইফুন প্রতিবছর ফিলিপাইন বা এর আশপাশের এলাকায় আঘাত হানে। এতে ঘরবাড়ি, বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ছাড়া বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.