Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home আবারও শিশু ধ’র্ষণ, আবারও ইমাম; ঘটনাস্থল মসজিদের ইমামখানা
অপরাধ-দুর্নীতি ঢাকা

আবারও শিশু ধ’র্ষণ, আবারও ইমাম; ঘটনাস্থল মসজিদের ইমামখানা

Shamim RezaAugust 7, 2019Updated:August 7, 20194 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : ৫ আগস্ট, সোমবার, রাত সাড়ে ১০টা। বোরকা পরা এক ব্যক্তি র‌্যাব ১১ এর কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করেন, তার মেয়ে বর্তমানে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে এবং মসজিদের ইমাম কর্তৃক ধ’র্ষিতা। তিনি বলেন, ধ’র্ষণের পর ইমামের অনুসারীরা আমার মেয়েকে ও আমাকে মে’রে ফেলার জন্য বার বার হাসপাতালে গিয়ে খুঁজছে।

ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিক র‌্যাব ১১ এর একটি অভিযানিক দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যায়। ভিকটিম ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে হাসপাতালে তাদের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করে। এরপর আভিযানিক দলটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ধর্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা শুরু করে এবং আজ ৭ আগস্ট ২০১৯ তারিখ সকাল ৬টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন উত্তর চাষাড়া চাঁনমারী এলাকা থেকে ধ’র্ষক মো. ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। তার পিতার নাম মৃ’ত রিয়াজ উদ্দিন। বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার সরাপাড়ায়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নি’র্যাতনের শিকার শিশুটির বয়স ৮ বছর। সে মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। শিশুটি রাতের বেলায় বিভিন্ন প্রকার দুঃস্বপ্ন দেখে কান্নাকাটি করত। বিভিন্ন প্রকার কবিরাজি চিকিৎসা করে ভালো না হওয়ায় ভিকটিমের বাবা জানতে পারে যে, অভিযুক্ত মো. ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ ঝাড়ফুঁক ও পানিপড়া দেয়। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা ভিকটিমকে এর আগে দুই থেকে তিনবার ধ’র্ষক ফজলুর রহমানের কাছে ঝাড়ফুঁক পড়িয়ে নেয়। তারপরও তেমন উপকার না হওয়ায় ধ’র্ষক ফজলুর রহমান ভিকটিমের বাসায় গিয়ে ‘বাড়িবন্দি’ নামক ‘চিকিৎসা’ করে আসে।

জানা যায়, ঘটনার আগের দিন মাগরিবের সময় ভিকটিমের বাবা ধ’র্ষক ফজলুর রহমানকে ফোন দিয়ে মেয়ের চিকিৎসার ব্যাপারে আসাতে চাইলে সে পরের দিন ফজরের আজানের সাথে সাথে মসজিদে আসতে বলে। কথা অনুযায়ী পরের দিন সকালে ভিকটিমের বাবা মেয়ে শিশুটিকে নিয়ে মসজিদে যায়। ফজরের নামাজের পর ধ’র্ষক শিশুটি ও তার বাবাকে নিয়ে মসজিদের তৃতীয় তলায় ইমামের শোবার ঘরে নিয়ে যায়। এরপর হালকা ঝাড়ফুঁক করে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের বাবাকে ভোর ৫টা ২০ এ এক প্যাকেট আগরবাতি ও একটি মোমবাতি আনার জন্য বাইরে পাঠায়। ওই সময় দোকানপাট খোলা না থাকায় শিশুটির বাবা কোনোভাবেই মোমবাতি ও আগরবাতি কিনতে পারছিলেন না। এর মধ্যে সময়ক্ষেপণ করার জন্য ধ’র্ষক ফজলুর রহমান শিশুটির বাবাকে ফোন করে ১টি পান আনতে বলে ও মসজিদের মোয়াজ্জিনকে ফোন করে নিচের গেটে তালা লাগানোর নির্দেশ দেয়।

ভিকটিমের বাবা ফিরে আসতে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় নেয়। এর মাঝে শিশুটির দুই হাত পেছনে বেঁধে ও মুখে টেপ মেরে নি’র্মমভাবে পাশবিক নি’র্যাতন করে তার ‘কামলিপ্সা’ চরিতার্থ করে এবং প্রমাণ লোপাটের জন্য মসজিদের ছাদে নিয়ে শিশুটিকে পানি দিয়ে ধুয়ে দেয়। এরপরে শিশুটির গলায় ছু’রি ধরে তার বাবা-মাকে না বলার হুমকি দেয় এবং বললে জবাই করে ফেলবে বলে হুঁশিয়ার করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে গেলে তাড়াহুড়া করে তার বাবাকে বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় করে দেয়।

এর পর শিশুটি বাসায় গিয়ে তার বাবা-মাকে সবকিছু খুলে বললে এবং ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়া শুরু করলে ভূক্তভোগী পরিবারটি শিশুটিকে নিয়ে মসজিদে এসে বিচার দিলে মসজিদ কমিটির কিছুসংখ্যক লোক ও আশপাশের ধ’র্ষকের কিছু ভক্ত মিলে সেখানেও শিশু ও পরিবারটিকে মা’রাত্মক হেনস্তা করে। ধ’র্ষক ফজলুর রহমান তার অনুসারীদের দিয়ে এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যে, ভুক্তভোগী পরিবারটি যেন থানা বা হাসপাতালে যেতে না পারে। এরপর শিশুটির অবস্থা আরো খারাপ হলে শিশুটিকে নিয়ে পরিবারটি নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চুপি চুপি ভর্তি করে।

ধ’র্ষক ফজলুর রহমান ও তার অনুসারীরা শিশুটিকে হ’ত্যা ও অপহরণ করার উদ্দেশ্যে কয়েক দফায় চেষ্টা চালায়। ধ’র্ষকের অনুসারীরা হাসপাতালে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে শিশুটিকে লুকিয়ে রেখে বাবা-মা দীর্ঘসময় হাসপাতালের টয়লেট ও বেডের নিচে লুকিয়ে থাকে। এরই একপর্যায়ে শিশুটির বাবা হাসপাতালের নার্স এর বোরকা পরে র‌্যাব অফিসে এসে অভিযোগ দেয়।

শিশুটিকে হ’ত্যাচেষ্টা, অ’পহরণচেষ্টা ও পরিকল্পনার সাথে যুক্ত থাকার অপরাধে ধ’র্ষকের অনুসারী মো. রমজান আলী, মো. গিয়াস উদ্দিন, হাবিব এ এলাহী ওরফে হবি, মো. মোতাহার হোসেন ও মো. শরিফ হোসেনকে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। সূত্র : কালেরকণ্ঠ

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Related Posts
চাঁদাবাজির অভিযোগ ইউএনওর

বিজয় দিবসের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আখাউড়া ইউএনওর বিরুদ্ধে

December 15, 2025
Manikganj

গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের মাসে ৮ লাখ টাকা চাঁদাবাজি!

December 14, 2025
Palli

যৌনপল্লী থেকে নাসরিনের মরদেহ উদ্ধার

December 14, 2025
Latest News
চাঁদাবাজির অভিযোগ ইউএনওর

বিজয় দিবসের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আখাউড়া ইউএনওর বিরুদ্ধে

Manikganj

গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের মাসে ৮ লাখ টাকা চাঁদাবাজি!

Palli

যৌনপল্লী থেকে নাসরিনের মরদেহ উদ্ধার

খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে যুবদলের মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

Manikganj

মানিকগঞ্জে জেলা জজের বাসভবনের গেইটে ককটেল বিস্ফোরণ

Manikganj

মানিকগঞ্জে শহীদ রফিক সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ, এলাকায় আতঙ্ক

স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

গলায় ফাঁস দিয়ে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

DR

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে চিকিৎসকের আত্মহনন

Abduction of a businessman in Nikunja

নিকুঞ্জে ব্যবসায়ী অপহরণ : ত্রাস ‘গুন্ডা জসিম’সহ গ্রেফতার ৭

ধামরাইয়ে মৎস্য চাষে বাধা

ধামরাইয়ে মৎস্য চাষে বাধা : ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ, বিপাকে কৃষক

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.