জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ আবু সাঈদকে ‘জামায়াতের লোক’ এবং শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ ফ্রান্সে আছে দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা। পরে তুপের মুখে পোস্ট ডিলিট করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে নাসরিন সুলতানা লেখেন, ‘কিছুদিন আগে একজন মেসেজ দিয়ে বললো, সবাই আবু সাঈদের কবরে যায়, কিন্তু মুগ্ধর কবরে যায় না কেন? আমি বললাম, কারণ, আবু সাঈদ জামায়াতের লোক ছিল, তাদের লোক ছিল। এরপর সে আমার উত্তরে হা হা রিয়েকশন দিলো। হা হা রিয়েকশনের অর্থ তখন বুঝিনি। কাল একজন বললো, মুগ্ধর লাশ, কবরের নাকি হদিস পাওয়া যায়নি। মুগ্ধর পরিবার নাকি কোনও মামলাও করেনি। মুগ্ধর ভাই নাকি বিদেশে ঘুরেফিরে ছবি আপলোড করে বেড়াচ্ছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আজ শুনলাম মুগ্ধ নাকি ফ্রান্সে। নিজের কানকে তো বিশ্বাস করতে পারছি না।’
এই পোস্টের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তা ডিলিট করেন তিনি। এরপর আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার আগের স্ট্যাটাস অনেকের মনে কনফিউশন তৈরি করেছে বলে ডিলিট করা হলো। আমি শুধু লোকজন আমাকে কী বলেছে, সেটা বলেছি। আমি নিজের কোনও মতামত দিইনি। কারও মনে আঘাত দিয়ে থাকলে আমি দুঃখিত।’
শিক্ষকের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে তার প্রতি ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত বলেন, ‘অবিলম্বে এই আওয়ামী দোসরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে নাসরিন সুলতানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। জানা গেছে, তিনি দেশের বাইরে রয়েছে। তিনি কানাডার সাসকাচোয়ান প্রদেশে যাচ্ছেন বলে মঙ্গলবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন।
নাসরিন সুলতানা ২০১১ সালে দর্শন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।