চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগের সাক্ষী পুলিশের নায়েক আবু বকর সিদ্দিকের অসম্পূর্ণ জেরা আজ সম্পন্ন করবে আসামিপক্ষ।
চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ ও রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে দায়েরকৃত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এ ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজকের শুনানি গ্রহণ করবেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
আজ নতুন সাক্ষীর জবানবন্দি শোনার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে গেছে। কারণ—আগের সাক্ষী, পুলিশের নায়েক আবু বকর সিদ্দিকের জেরা এখনও অসম্পন্ন। তিনি ১৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে গত ১৩ নভেম্বর আদালতে উপস্থিত হয়ে ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই আবু সাঈদ হত্যার আগে ও পরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বিস্তারিতভাবে ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন।
আজ তার জেরা সম্পন্ন করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এ মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার, মঈনুল করিম, সাইমুম রেজা তালুকদার, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ আরও অনেকে।
এর আগের তিন দিনে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ক্রমান্বয়ে এসআই (সশস্ত্র) মো. আশরাফুল ইসলাম, রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদ এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব রেজা খান। ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রত্যেকেই হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরেন। ৪ নভেম্বর, ২১ অক্টোবর এবং ১৩ অক্টোবর সাক্ষী হাজির না হওয়ায় তিন দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে যায়।
গত ৬ অক্টোবর মামলার নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। ওই দিন দুই পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) রফিক ও এসআই রায়হানুল রাজ দুলাল—জবানবন্দি দেন। এরও আগে, ২৮ আগস্ট নিহত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন এবং সাংবাদিক মঈনুল হক সাক্ষী হিসেবে আদালতে বক্তব্য দেন, যা দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
মামলায় গ্রেপ্তার ৬ আসামি বর্তমানে আদালতে উপস্থিত রয়েছেন। তারা হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। বাকি ২৪ আসামি, যাদের মধ্যে বেরোবির সাবেক ভিসিও আছেন, এখনও পলাতক। তাঁদের পক্ষে আদালতের নির্দেশে গত ২২ জুলাই চারজন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত ২৭ আগস্ট চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এর আগে ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল বিচার শুরুর আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে ২৯ ও ৩০ জুলাই আসামিদের পক্ষে বিভিন্ন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন।
মোট ৬২ জন সাক্ষী নিয়ে এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। আজকের সাক্ষ্যগ্রহণে বিচারকাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
ঢাকায় আহাদ রাজা মীর, রিকশার প্যাডেলে পা রেখে মেতে উঠলেন ঢাকাই আমেজে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



