
জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, সামনে যে কঠিন সময় আসছে, সে সময়টাতে আবার আমাকে ফাইট দিতে হবে। কারণ দেশটাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত খুব বেশী হচ্ছে। আমি মনে করে আমি ২০০১ এর বোমা হামলাতেই মরে গেছি। তাই মৃত্যুকে ভয় পাইনা, ভরসা একমাত্র আল্লাহর উপর আর সত্যের পথেই হাঁটবো।
মঙ্গলবার টিভি সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব বলেন শামীম ওসমান এমপি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বর্ষীয়ান ও প্রবীণ সাংবাদিক এমএ সালাম।
তিনি বলেন, আপনারা গণমাধ্যম কর্মীরা আমার পক্ষে বা বিপক্ষে থাকেন সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো এদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই উন্নয়নের অগ্রগতির পক্ষে থাকুন। কারণ, শেখ হাসিনা ছাড়া এদেশ আবারো মুখ থুবড়ে পরবে।
শামীম ওসমান এমপি বলেন, নারায়ণগঞ্জে কেউ কেউ সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছে। আমি মনে করি, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা অসাম্প্রদায়িকতা মানে এটা না যে, আমি অসাম্প্রদায়িক এটা প্রমাণের জন্য কোনো মন্দিরে গিয়ে গরু কোরবানি দিব। এটা হয় না। অসাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে কয়দিন পরে দুর্গাপূজা হবে, আজানের সময় ঢাকঢোল বন্ধ হয়ে যায়। আবার আমরা মুসলমানরা সেখানে যাই। সব ধর্মেরই শেষ ঠিকানা হলো শ্মশান বা কবরস্থান। কোনো হিন্দু ভাইয়ের স্মৃতিসৌধে গরুর রক্ত দিয়ে আসলে কেউ মেনে নিবে না। আর মুসলমানের কবরে শ্মশানের মাটি দেয়া হলেও সেটা ঠিক হবে না।
শামীম ওসমান এসময় তার বাবা-মা সহ পরিবারের মৃত সদস্যদের কবরে শ্মশানের মাটি ফেলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সেদিনের পর থেকেই আমি নারায়ণগঞ্জে কম আসি। কখন কি বলে বসি সেটা ঠিক নাই। আমি দেখছি দুই একটা মিডিয়া আমাকে বা পরিস্থিতি উত্তেজক করার করার জন্য কথা বলে। তারা চাচ্ছে আমি উত্তেজিত হই। আমি হবো না। কিন্তু যা আশা করছেন তারা এবার পাবেন না। কারণ আমি নীলকন্ঠি হওয়ার চেষ্টা করছি।
বিষ খেয়ে হজম করার চেষ্টা করছি। আত্ম অহংকার অহমিকা এগুলো ভাল না। কারণ পৃথিবীতে কিছুই স্থায়ী না। ধৈর্য ধরার চেষ্টা করেছি। আমি জীবনে এত চিৎকার দিয়ে কাঁদি নাই। সেদিন যতটা কেঁদেছি। ওখানে বসে নামাজ পড়েছি। আল্লাহর কাছে ধৈর্য ভিক্ষা চেয়েছি। আল্লাহ আমাদের ধৈর্য দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



