স্পোর্টস ডেস্ক : সাকিব একা আর কতদূর টানবেন দলকে ! মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া বলার মত পারফরম্যান্স ছিল না আর কারো। এই তিন ক্রিকেটারের সমর্থনে সাকিব নিজের কাজ করে গেছেন শতভাগ দিয়ে। তাতে তিনটি ম্যাচে দলকে জয় এনে দিতে পারলেও তুলতে পারেননি সেমিফাইনালে।
পারবেনই বা কীভাবে! ক্রিকেট দলীয় খেলা, সেখানে একক প্রচেষ্টায় কতদূরই বা যাওয়া যায়! তবুও সাকিবের ‘অতিমানবীয়’ পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে টেনে নিয়েছে স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি পথ। অল্পের জন্য শেষ চারের দৌড় থেকে বাদ পড়ার সাকিবের কণ্ঠে আক্ষেপ- যদি সতীর্থরা আরও একটু ঠিকঠাকভাবে নিজের কাজটুকু করতেন! সাকিবের কাছে ব্যক্তিগত ভালো পারফরম্যান্স কিংবা দলের কুড়িয়ে নেওয়া প্রশংসা তাই অর্থহীন। তার ভাষ্য, ‘আমরা বেশ ভালো খেলেছি। কিন্তু শুধু ভালো খেলতে চাইনি, চেয়েছিলাম জিততে! এমন বড় টুর্নামেন্টে যে আশা নিয়ে এসেছিলাম আমরা তা পূরণ হল না। ছোটখাটো কিছু বিষয় যদি আমরা ঠিকঠাক করতে পারতাম তাহলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- সবদিক থেকেই কিছু বিষয় আরও ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারলে আমরা ভালো অবস্থানে থাকতে পারতাম।’
সাকিব মনে করেন, ক্রিকেটাররা আরও একটু মরিয়া হয়ে খেললেই বাংলাদেশ পৌঁছাতে পারত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। একই ভাবনা অবশ্য ক্রিকেট অঙ্গনের সবারই। টাইগাররা আরও একটু চেষ্টা করলে হয়ত বিশ্বকাপের সর্বকালের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স নিয়ে সাকিব নামতেন নকআউট পর্বেও!
সাকিব বলেন, ‘ইতিবাচক দিক আছে, কিন্তু এগুলো বলে ফায়দা নেই। দিনশেষে ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় ফলাফলটাই। এই বিশ্বকাপে ধারাবাহিকভাবে ভালো করেছি। এর বেশি কিছু বলছি না। আমি মনে করি আমাদের এর চেয়েও বেশি কিছু করার সুযোগ ছিল। সবাই চেষ্টা করছে, কিন্তু আমাদের আরও মরিয়া হয়ে খেলা উচিত ছিল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।