জগদীশচন্দ্র বসু বাংলার বিজ্ঞানীদের অগ্রদূত। তিনিই বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আমরাও বিজ্ঞানী হতে পারি। তিনিই প্রথম বলেছিলেন গাছের অনুভূতি আছে। তিনিই রেডিও বা বেতারযন্ত্রের প্রথম আবিষ্কারক। আজ ৩০ নভেম্বর এই বিজ্ঞানীর জন্মদিন।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত গবেষণাগারে যখন ব্যাপক গবেষণাযজ্ঞ চলছিল, সেই সময় ভারতের বিজ্ঞান-মরুতে গবেষণার ফল ফলানোর জন্য একাই লড়ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু। আমরা আজ যে বিজ্ঞান-গবেষণার পথে খুব ধীরে ধীরে হলেও হাঁটতে শুরু করেছি, সেই পথ অর্ধশত বছরের কঠিন পরিশ্রমে তৈরি করেছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু।
১৯০৯ সালের শেষের দিকে ইতালির গুগ্লিয়েলমো মার্কনি আর জার্মানির কার্ল ফার্ডিন্যান্ড ব্রোনকে যখন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলো, তখন সারা বিশ্ব জানল যে বেতার যোগাযোগব্যবস্থা আবিষ্কৃত হয়েছে। অথচ বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু বেতারতরঙ্গ নিয়ে মৌলিক গবেষণা শুরু করেন মার্কনিরও অনেক আগে। তিনিই ১৮৯৫ সালে বিশ্বে প্রথম কৃত্রিম মাইক্রোওয়েভ উৎপাদনে সাফল্য লাভ করেন। পদার্থবিজ্ঞানে অনেক যুগান্তকারী আবিষ্কারের পাশাপাশি উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা নিয়ে গবেষণার সূত্রপাত করেন জগদীশচন্দ্র।
উদ্ভিদও যে উদ্দীপনায় সাড়া দেয়, এ তথ্য জগদীশচন্দ্র বসুর আগে কেউ উপলব্ধি করেননি, প্রমাণ করতে পারেননি। বহুমুখী বিজ্ঞানের সাধক জগদীশচন্দ্র বিশ্ববিজ্ঞানীর আসরে যথোপযুক্ত আসন অর্জন করেছিলেন অনেক সাধনা, সংগ্রাম ও পরিশ্রমের বিনিময়ে। ১৯২৭ সালে লন্ডনের ডেইলি এক্সপ্রেস জগদীশচন্দ্রকে গ্যালিলিও এবং নিউটনের সমকক্ষ বিজ্ঞানী হিসেবে উল্লেখ করেছে। আলবার্ট আইনস্টাইনের মতে, ‘জগদীশচন্দ্র বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য যত তথ্য বিজ্ঞানকে দিয়েছেন, তাঁর যেকোনোটির জন্য বিজয়স্তম্ভ স্থাপন করা উচিত।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।