আমাদের শরীরে যখন কোথাও ক্ষত এর সৃষ্টি হয় তখন সে জায়গায় গরম হয়ে যায়, ব্যথা অনুভূত হয়। সাবধানতা অবলম্বন না করলে কেটে যাওয়া অংশের মধ্য দিয়ে জীবাণু দেহের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। এভাবে কিছুটা বিষাক্ত পদার্থ আক্রান্ত কোষের উপর আক্রমণ করতে পারে।
তখন হিস্টামিন ক্ষরিত হয় ও জীবাণুর সাথে লড়াই এ অংশ নেয়। এটি মূলত রোগ প্রতিরোধ সিস্টেমের একটি অংশ। শরীরের কোন জায়গায় কেটে গেলে তার আশেপাশের রক্তনালি বেশ প্রসারিত হয় এবং সে জায়গায় অতিরিক্ত রক্ত প্রবেশ করে। এভাবে শ্বেত রক্ত কণিকা সেখানে পৌঁছায় এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
একই সাথে জায়গাটি উষ্ণ হয় এবং তা জীবাণুর প্রসারণে বাঁধার সৃষ্টি করে। এতে সংক্রমণ আর বেশি দূর বাড়তে পারে না। আক্রান্ত স্থান আপনাকে ব্যথার অনুভূতির স্বাদ দিলে তাতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এটিও রোগ প্রতিরোধ কার্যকর হওয়ার একটি অংশ মাত্র।
সবথেকে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে যে, রক্তের এনডোথেলিয়াল স্তরে এমন এক রাসায়নিক পদার্থ ক্ষরিত হয় যার ফলে ফ্যাগোসাইটোসিস সহজে এবং খুব দ্রুত আক্রান্ত স্থানে পৌঁছাতে পারে। ফ্যাগোসাইটোসিস জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
একই সাথে ক্ষত স্থানের আশেপাশে ফাইবারের জাল তৈরি করে। আপনি এটাকে প্রাচীর হিসেবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। এই প্রাচীর ভেদ করে জীবাণু বাইরে যেতে পারে না। ফ্যাগোসাইটোসিস একেবারে জীবাণুকে ধ্বংস করে দেয়। সেখানে পরবর্তী সময়ে একাধিক কোষ এর মৃত্যু ঘটলে পুঁজ তৈরি হয় এবং তা দেহ থেকে বেরিয়ে আসে। এভাবে আমাদের ক্ষতস্থান সেরে ওঠে।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.