১৯৯২ সালে আমাদের সৌরজগতের বাইরে একটি নক্ষত্রকে ঘিরে দুটি গ্রহের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের পর থেকে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে হাজার হাজার নতুন বহিঃগ্রহ পাওয়া গেছে। তবে বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের মতো কাছাকাছি কোন সিস্টেম খুঁজে পায়নি।
যেসব বহিঃ গ্রহের সন্ধান গবেষকরা পেয়েছে সেখানে বসবাসের অনুকূল পরিবেশ নেই। প্রচন্ড ঠান্ডা বা গরম, বরফে ঘেরা পরিবেশ, ধুলা বা মেঘে আবৃত; এরকম বহি:গ্রহ খুঁজে পাওয়া গেছে। ছায়াপথে আমরা আমাদের নিজস্ব সৌরজগতে যা দেখি তার চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র রয়েছে।
আমাদের সৌরজগতের মতো শতভাগ একই সিস্টেম খুঁজে পাওয়া গেলেও তা অনেক দুরে অবস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনের গবেষণার জন্য আরও উন্নতি প্রযুক্তির প্রয়োজন। নাসার বিজ্ঞানীরা এমন টেলিস্কোপ ব্যবহার করে যা ২৭ দিনের বেশি সময় ধরে আকাশের একই অংশে ফোকাস করতে পারে।
এ কারণেই মহাকাশে থাকা ট্রানজিটিং এক্সোপ্লানেট সার্ভে স্যাটেলাইট এত শক্তিশালী। যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল বেলিস বলেছেন যে, সরাসরি ইমেজিং পদ্ধতি দীর্ঘ কক্ষপথ সহ বহিঃগ্রহগুলির গবেষণার জন্য সবথেকে ভালো কাজ করে।
এই পদ্ধতিটি এমন এক ধরনের বহিঃগ্রহ খুঁজে পেতে সাহায্য করে যা সংক্ষিপ্ত কক্ষপথের প্রায় বিপরীত। বৃহত্তর বহিঃগ্রহগুলি এই পদ্ধতিতে খুঁজে পাওয়া বেশ সহজ হবে। সাধারণ টাইপের বহি গ্রহ আমাদের নিজস্ব সৌরজগতে পাওয়া বেশ কঠিন।
নিশ্চিত হওয়া বেশিরভাগ বহিঃগ্রহের কক্ষপথ রয়েছে যা পৃথিবীর কক্ষপথের চেয়ে অনেক ছোট। এসব কক্ষপথ ২০ দিনের কম সময় ধরে স্থায়ী হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীদের ধারণা যে একাধিক নক্ষত্র কোন না কোন ভাবে গ্রহ গঠন করার বিষয়কে কঠিন করে তুলেছে।
ড্যানিয়েল বেলিস আরও বলেছেন যে, আমাদের সৌরজগতে এমন কিছু গ্রহ পাওয়ার আশা করা হয়েছিল যা সাধারণ টাইপের। এরকম হতে পারে যে আমাদের সৌরজগৎ থুব বেশি বিরল। এরকম সৌরজগৎ খুঁজে পাওয়া নাও যেতে পারে। আবার আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।