প্রশ্ন: আমার বয়স ৩২ বছর। আমি আসলে কী চাই নিজেই জানি না। যেমন আমার অনেকদিনের ইচ্ছে একটি বড় বাসা সুন্দর করে সাজাবো। কিন্তু যখন বাসা সাজানোর সুযোগ আসে, তখন আর ইচ্ছে করে না। আমার মনে হয় অনেক গাছ লাগালে খুব ভালো লাগবে। কিন্তু গাছ কিনে আনার পর আর লাগাতে ইচ্ছা করে না, লাগালেও যত্ন নিতে গড়িমসি করি। এমন কেন হয়?
উত্তর: আপনি কী চান তা আপনি জানেন না কারণ আপনার সবকিছুই আছে। প্রতিটি মানুষ প্রতি মুহূর্তে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের অপূর্ণতার অনুভূতি মরীচিকা মাত্র। এ কারণে আমরা কি চাই তা আমরা কেউই জানিনা। আমরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। একের পর এক আমাদের লক্ষ্য পরিবর্তন করি। কিন্তু কোনওটিতেই তৃপ্তি মেলে না। আমরা একঘেয়েমিতে আক্রান্ত হই। প্রতিটি মূহুর্তেই আমাদের জীবন পরিপূর্ণ। এই উপলদ্ধি যখনই আপনার ভেতরে আসবে তখনই আপনি বুঝবেন যে, আপনার আসলে ভালো লাগার জন্য বিশেষভাবে কিছুই করার দরকার নেই। জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে পরিপূর্ণভাবে ভালোবাসার সাথে আপন করে নিতে হবে, খারাপ নাকি ভালো সে বিবেচনা না করে সন্তানের মতো আলিঙ্গন করে নিতে হবে।
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৭ বছর, তিন বছর প্রেম করে বিয়ে করি। আমি দেখতে গতানুগতিক সুন্দর বলতে যেটা বোঝায় সেটা না। অন্যদিকে আমার স্বামী খুবই সুদর্শন। আমার চেয়ে স্বামী বেশি সুদর্শন বলে পদে পদে অপদস্থ হতে হয় আমাকে। আমার শাশুড়ি কথার খোঁটা দেন সময়ে অসময়ে। কোনও দাওয়াতে গেলেও সবাই বাঁকা কথা বলে। আমাদের দেখতে একদম ভালো লাগে না এমন ব্যঙ্গ শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত। আমার স্বামীর কোনও দোষ না থাকলেও আমি হতাশা ওর উপর দেখাই। সব মিলিয়ে ভালো নেই আমি। কী করবো?
উত্তর: আপনি আপনার ভালো মন্দ সকল বৈশিষ্ট্যকে যখনই নিরবিচ্ছিন্নভাবে মেনে নিতে পারবেন, তখনই আপনার ভেতর পজিটিভ এনার্জি তৈরি হবে। যা আপনার অজান্তেই অন্যদেরকে মুগ্ধ করে। আমাদের প্রত্যেকের ভেতরেই এই এনার্জি আছে। আমরা যতো বেশি আমাদের সকল বৈশিষ্ট্য মেনে নিতে পারবো, আমাদের ভেতরে এই এনার্জি তত বেশি উজ্জ্বল এবং প্রেরণাদায়ক হবে। আপনিও এই গুণটি অর্জন করতে পারেন প্রতি মুহূর্তে নিজের আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনাকে মেনে নেওয়ার মাধ্যমে যেটাকে আমরা সেল্ফ এপ্রুভাল বা সেল্ফ এক্সেপ্টেন্স বলি। কোনও কারণে কোনও সময় নিজের কোনও বৈশিষ্ট্যকে মেনে নিতে না পারলে সেই মেনে নিতে না পারাটাকেও মেনে নিতে হবে, যার চাইতে সহজ আর কিছু হতে পারে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।