জুমবাংলা ডেস্ক : আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমানকে কুষ্টিয়ার আদালত চত্বরে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত ৪৪ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মহিবুল ইসলাম বাধন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে কুষ্টিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেহাবুর রহমান আমার দেশকে বলেন, শহরের হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার বাধন কুষ্টিয়া শহরের পেয়ারাতলা এলাকার নজরুল ইসলাম বাবুর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ জুলাই আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান একটি মানহানি মামলার বিবাদী হিসেবে কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। তাকে দিনভর আদালত ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আদালত চত্বরেই তার (আমার দেশ সম্পাদক) ওপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা করে এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনার ছয় বছর পর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলে গত বছর ১০ অক্টোবর মজলুম সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান ভারতে পলাতক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ, ফাসিস্টের সহযোগী সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিনসহ ৪৭ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা চেষ্টার অভিযোগ দেন।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ওই দিন কুষ্টিয়া আদালতের দায়িত্বরত কোর্ট ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান তাকে পুলিশি প্রটেকশন দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং যশোর বিমান-বন্দরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করার কথা জানান। তার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমার দেশ সম্পাদক আদালত এজলাস কক্ষ হতে বের হয়ে, তার দুই সফর সঙ্গীসহ একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারে বসেন। গাড়িতে বসার ২/১ মিনিটের মধ্যেই ১১ হইতে ৪৭ নম্বর আসামিরা আরও ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামা মারাত্মক অস্ত্র, রড, লাঠি-সোটা ও ইট-পাথর দিয়ে উক্ত গাড়ির সকল কাঁচ ভেঙ্গে লাঠি ও পাথর দিয়ে আমার দেশ সম্পাদককে উপর্যুপরি আঘাত করে। তাকে রক্তাক্ত জখম করে।
হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দেয়া এজাহারটি কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। শুরুতে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু তাহেরকে। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাইমুম হাসানকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।