বিনোদন ডেস্ক : প্রতি বছর ঋতুরাজকে আবাহন জানাতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী। বাংলার তাবড় গায়ক, বাদ্যকার, বাচিক শিল্পী যোগ দেন ইমনের এই অনুষ্ঠানে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অর্কদীপ মিশ্র, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বহু গুণিজন উপস্থিত ছিলেন এই মঞ্চে।
শনিবার লিলুয়ায় ইমন চক্রবর্তীর বসন্ত উৎসব। এক মঞ্চে বিধায়ক মদন মিত্র, ‘বাদাম কাকু’ ভুবন বাদ্যকার।
ইমনের উদযাপন শুরু থেকেই জমজমাট। শনিবারই শিল্পীর মায়ের প্রয়াণবার্ষিকী। সকালে থেকে দুই বিপরীতমুখী আয়োজনে ব্যস্ত তিনি। সে কথা ইমন জানিয়েওছেন, ‘এ বছর বসন্ত উৎসব ১৯ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। অনুমতি পাইনি। অদ্ভুত ভাবে আজ মায়ের বার্ষিকীর দিন বসন্ত উৎসব হচ্ছে। শরীর, মন কাঁপবে আমার। তবু উৎসব হবে। আশীর্বাদ করো মা। তোমায় উৎসর্গ করলাম আমরা এই উৎসব।’
বিকাল গড়াতেই অনুষ্ঠান শুরু। মীরপাড়া পার্ক ময়দান দর্শক-শ্রোতার ভিড়ে ছয়লাপ। মঞ্চে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র উঠতেই হাততালির ঝড়। হলুদ পাঞ্জাবি, লাল ধাক্কাপাড় ধুতিতে সজ্জিত কামারহাটির বিধায়ক। তাঁর সঙ্গেই মঞ্চে উপস্থিত ‘বাদাম কাকু’। ভুবন বাদ্যকার গানে গানেই জানালেন তাঁর মনের ইচ্ছে, ‘আমার বাদাম কেড়ে নিল বিশ্ববাসীর মন, শিল্পী হতে চাই গো বাবু জানাই যে প্রণাম।’ বাকিদের মতো ভুবনও এ দিন রঙিন হলুদ পাঞ্জাবি, জহর কোট আর ট্রাউজারে।
এর পরেই ভুবন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে গেয়ে ওঠেন ‘কাঁচা বাদাম’। গানের তালে নেচে ওঠেন ইমন। দুলে উঠেন উপস্থিত সব বয়সের শ্রোতাও। কলকাতার এক নিশিঠেকে সম্প্রতি অনুষ্ঠান করেন ভুবন। সে দিনও প্রথম সারির রেস্তরাঁয় তাঁকে ঘিরে উৎসাহ ছিল দেখার মতো। গানের পাশাপাশি ‘বাদাম কাকু’কে শাসক দলের পুরভোট-প্রচারেও দেখা যাচ্ছে।
প্রতি বছর ঋতুরাজকে আবাহন জানাতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী। বাংলার তাবড় গায়ক, বাদ্যকার, বাচিক শিল্পী যোগ দেন ইমনের এই অনুষ্ঠানে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অর্কদীপ মিশ্র, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বহু গুণিজন উপস্থিত ছিলেন এই মঞ্চে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।