জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের বৃ- আঙ্গারু বাংগালপাড়া গ্রামে জিয়াসমিন খাতুন জেসমিন (১৫) নামে ৮ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে ওই গ্রামের মোঃ ইয়াছিন আলীর মেয়ে। মৃত্যুর আগে চিরকুটে সে প্রতারক প্রেমিক অনিককে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের বৃ-আঙ্গারু বাংগালপাড়া গ্রামের মোঃ ইয়াছিন আলীর মেয়ে জিয়াসমিন খাতুন জেসমিনের সাথে একই গ্রামের খোয়াজ সরকারে’র ছেলে অনিকের দির্ঘদিন ধরে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। দুজনের প্রেমের বিষয়টি দুই পরিবারেই জানাজানি হলে সবার মতামতের ভিত্তিতে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে ঠিক হয়।
সবকিছু ঠিক ছিল, কিশোরী জেসমিন স্বামী সংসার নিয়ে নানান রকম কল্পনার জগতে বসবাস করছিল। কিন্তু গত শুক্রবার ২৪ আগস্ট প্রেমিক অনিক অন্যত্র বিয়ে করে নতুন বউ বাড়িতে নিয়ে আসে। এই খবর পাওয়ার পর থেকেই জেসমিন বিমর্ষ হয়ে পরে, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করত না। গতকাল সোমবার সকাল আটটায় সবার অজান্তে ঘরের ডাফের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। নিহত ইয়াসমিন বনগ্রাম হাজী কোরবান আলী উচ্চবিদ্যালয়ে’র ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। এদিকে জেসমিনের আত্মহত্যার খবর তার স্কুলে পৌছালে তার সহপাঠিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ঘটনাটি শাহজাদপুর থানা পুলিশ জানতে পেরে ওসি তদন্ত মোঃ রাশিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এসময় পাশেই একটি চিরকুটে মৃত্যুর আগে জেসমিনের লেখা একটি চিঠি পাওয়া যায়, যেখানে সে তার মৃত্যুর জন্য তার প্রতারক প্রেমিক অনিককে দায়ী করে এবং আরো লেখে যে মরনের পরে অনিক নরকেও সুখে থাকতে পারবে না।
শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতাউর রহমান জানান, জেসমিনের মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ সিরাজগঞ্জে ২৫০ শয্যা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।