জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হ*ত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো তার স্ত্রী ও এই হ*ত্যা*কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে কারাগারে গিয়ে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে বরগুনা জেলা কারাগারে গিয়ে মিন্নির সঙ্গে দেখা করেন তার বাবা-মা, ভাই-বোন ও চাচা-চাচি। সেখান থেকে বেরিয়ে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের নির্যাতনের মুখে তার মেয়ে জবানবন্দি দিতে বাধ্য হয়েছে।
জবানবন্দি না দিলে তাকে নতুন করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হবে বলেও দেওয়া হয়েছিল। আর মিন্নির মা মিলি আক্তার অভিযোগ করেন, পুলিশের মারধরের মুখে তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কারাগারে সাক্ষাতের সময় মিন্নি তাদের এসব কথা জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার বাবা-মা।
মিন্নির সঙ্গে দেখা করে বের হয়ে দুপুরে কারাফটকে উপস্থিত সাংবাদিকদের মোজাম্মেল হোসেন জানান, তার মেয়েকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল এবং তাকে (মিন্নি) দুজন কারারক্ষী দুই পাশ থেকে ধরে সাক্ষাৎ কক্ষে নিয়ে আসে।
মোজাম্মেল বলেন, ‘আমার মেয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ, দুই মাস আগেও তাকে মানসিক চিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখিয়েছি। জেলখানায় তাকে দেখে আমার কান্না পেয়েছে, আমার মেয়েটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। আমার মেয়ে এখন খুব অসুস্থ, তার চিকিৎসার প্রয়োজন। পুলিশ ও প্রভাবশালী মহল যৌথভাবে আমার নিরীহ মেয়েকে ফাঁসিয়ে ফায়দা লুটতে চাইছে।’
ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মেয়ের কাছ থেকে সাজানো জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘হ*ত্যাকা*ণ্ডের সঙ্গে আমার মেয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়। ঢাকা থেকে আইনজীবীরা আসবে শুনে পুলিশ নির্যাতন করে তড়িঘড়ি আমার মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করিয়েছে। মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমার মেয়েকে গ্রেপ্তার করে মামলায় জড়ানো হয়েছে। এখন আবার তাকে দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও রেকর্ড করানো হলো। এর মাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশবাসী দেখেছে আমার মেয়ে তার স্বামীকে বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের সাথে যুদ্ধ করেছে। আমার মেয়ে মিন্নি নির্দোষ, রিফাত হত্যা নিয়ে শুরু হয়েছে নোংরা রাজনীতি। আমি প্রশাসনকে বলতে চাই, আমার মেয়েকে না ফাঁসিয়ে আপনারা সঠিক তদন্ত করেন, তাহলে রিফাত হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।