বিনোদন ডেস্ক: পুরস্কারের মঞ্চে উপস্থাপককে কষিয়ে চড়। কোনও আঞ্চলিক সাদামাঠা পুরস্কার বিতরণের উৎসব নয়।সোমবার সকালে অস্কারের মঞ্চে ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা নিয়ে গোটা বিশ্ব তোলপাড়। তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে চটুল রসিকতার ‘শাস্তি’ হিসেবে সোজাসুজি অস্কারের মঞ্চে উঠে গিয়ে উপস্থাপক কমেডিয়ান ক্রিস রককে সপাটে একটি চড় মারলেন অভিনেতা উইল স্মিথ। নিজের আসনে ফিরে আবারও চিৎকার করে বললেন, “তোমার (নোংরা) কথা থেকে আমার স্ত্রীকে দূরে রাখো!’’ বস্তুত, ক্রিসের উদ্দেশ্যে ছাপার অযোগ্য চার অক্ষরের শব্দও ব্যবহার করেন ক্রুদ্ধ স্মিথ।
এ রকম পরিস্থিতির শিকার হলে কী করতেন তিনি? প্রশ্ন করা হয়েছিল কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীকে। ভারতের জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দবাজারের কাছে তা নিয়ে কথা বললেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। বলেন, “বিষয়টা এই মাত্র শুনলাম। না দেখে বলা মুশকিল।তবে রসিকতা এক এক দেশে এক এক রকম হয়। রসিকতার সংস্কৃতিও আলাদা। আমার স্ত্রীকে রসিকতার ছলে এ রকম কিছু বললে বলা যায় না, আমি ঘুষি মারতেও পারি। আবার না-ও পারি। তবে ‘উপযুক্ত’ ব্যবস্থা যে নেব, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।”
১৯৯৭ সালের ছবি ‘জি আই জেন’-এ নায়িকার চরিত্রে অভিনেত্রীর মাথায় চুল কম থাকা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। স্মিথের স্ত্রী জাডার মাথাতেও চুল কম। অনেকটা মস্তক মুন্ডনের পর সদ্য চুল গজালে যেমন হয়, তেমনই। সে কারণেই সম্ভবত রসিকতা করে জাডাকে ‘জি আই জেন ২’-এর নায়িকার ভূমিকায় দেখার বাসনার ইঙ্গিত করেন ক্রিস।
প্রসঙ্গত, ‘অ্যালোপেশিয়া’ নামে একটি রোগে আক্রান্ত উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা। এই রোগের ফলে হলে মাথার চুল পড়ে যায়। জাডার ক্ষেত্রেও তেমনই হয়ে থাকবে। কিন্তু স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে অস্কারের মঞ্চেে উপস্থাপক ক্রিস রসিকতা করাতেই মেজাজ হারান স্মিথ।
ঋত্বিক এই ঘটনার কথা জেনে বলেন, “কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপস্থাপকের রসিকতা তাঁর রুচিহীনতাকেই প্রকাশ করে। মানুষও আজকাল রুচিহীনতাও পছন্দ করেন। অনেক সময়ে নির্বাক থেকেও সেই রুচিহীনতার বিরোধিতা করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে অসুখের প্রসঙ্গ এনে ঠাট্টা নিতান্তই অনুচিত। আমার স্ত্রীকে নিয়ে এমন রসিকতা করলে আমিও চুপ করে থাকতাম না।”
অস্কারের মঞ্চে উপস্থাপককে স্মিথের চড়,আলোচনায় অ্যালোপেশিয়া; কী এই রোগ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।