জুমবাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি একটা দেশের সরকার প্রধান, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেশ চালাই না। দেশের মানুষের ভালো-মন্দ সব সময় আমি খেয়াল রাখি।
আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
দেশের সব দায়িত্ব কেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই নিবেন – সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি বুঝি না কেন আপনারা এ প্রশ্নটা করেন। আমি একটা দেশের সরকার প্রধান। কেউ আমাকে দায়িত্ব চাপিয়ে দেয় না, আমি নিজে থেকে সব খবর রাখি। কারণ আমি ঘুমিয়ে দেশ চালাই না। এ দেশ আমার, এ দেশের মানুষ আমার, আমি তাদের ভালো-মন্দ নজরদারিতে রাখি। এটা নিয়ে কেন প্রশ্ন আসে এটা বোধগম্য নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বুঝেছি, কারণ আপনারা এর আগে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা দেখেছেন। অনেক রাষ্ট্র প্রধান বেলা ১২টায় ঘুম থেকে উঠে কী হয়েছে জানতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ফেনী নদীর উৎপত্তি বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে হলেও এ নদীর বেশির ভাগ ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক নদী। আমরা সামান্য ১ দশমিক ১২ কিউসিক পানি দিচ্ছি ভারতকে। এ নিয়ে হইচই করার কী আছে?’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতে গ্যাস রফতানির বিষয়ের প্রসঙ্গ তুলে যে সমালোচনা করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। বিদেশ থেকে আমদানি করা তরল গ্যাস বোতলজাত করে ত্রিপুরায় রফতানি করার পরিকল্পনা হয়েছে। এটি তো দেশের স্বার্থেই করা। ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগ উন্মুক্ত করা হয়েছে। তারা বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করে বোতলজাত করছে।
‘অন্যদিকে আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের খনি থেকে কিছু তেল উৎপাদন হয়, যা থেকে অকটেন, পেট্রল এবং তরল গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে। এই তরল গ্যাসই রফতানি করার পরিকল্পনা হচ্ছে। এখানে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে নয়।’
ভারতের সঙ্গে ফেনী নদীর পানি বণ্টনের চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ত্রিপুরায় যে পানি দেয়া হচ্ছে, তা হচ্ছে খাবার পানি। কেউ খাবার পানি চাইলে, তা যদি না দিই, তাহলে কেমন হয়!
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষ আমাদের আগলে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে। সেই ত্রিপুরায় সামান্য খাবার পানি দেয়ার জন্য আপত্তি থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশের কোনও স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করতে পারে না। গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। কিন্তু বিএনপি গ্যাস বিক্রির চুক্তি করার পরই ক্ষমতায় আসে ওই সময়।
সাম্প্রতিক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে দেশবাসীকে জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সফর করেন। সেখান থেকে ফিরে ৩ থেকে ৬ অক্টোবর দিল্লি সফর করেন শেখ হাসিনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।