বিনোদন ডেস্ক : আসন্ন ২৫ অক্টোবর নির্বাচনেও মিশা-জায়েদ এক হয়ে প্যানেল দিয়েছেন। তবে এবারের প্যানেলে নেই আগেরবারের সত্তর ভাগ সদস্য। জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নানা বিতর্কিত আচরণে বিরক্ত হয়ে তারা এবার মিশা-জায়েদের প্যানেল থেকে সরে গেছেন। অন্যদিকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মৌসুমী ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে ইলিয়াস কোবরা মনোনয়ন কিনেছেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। সে সময় তিনি নির্বাচনের বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন।
আপনার প্যানেলের বাকি সদস্যরা ‘অদৃশ্য শক্তির’ চাপে পিছু হটলেন, আপনি কোনো চাপ পেয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন, আমাকে কেউ হয়তো বলছে, আমি রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবো। এমন এমন মানুষকে দিয়ে বলানো হচ্ছে যেন আমি ভয় পাই। বলছে, বদনাম হবে। আমি বললাম, বদনামই তো হবে। আমার একটা স্ক্যান্ডাল করবে। আমার একটা ভুল তথ্য রটাবে।
তিনি আরও বলেন, আমি তো ফাঁসির আসামি না। আর কী করতে পারবে? আমি খু’নও করিনি, আমি ফাঁ’সির আসামিও না। ব্যাংক আমার কাছে পাঁচলাখ টাকাও পায় না। ইন্ডাস্ট্রির কোনো মানুষ আমার কাছে কোনো টাকা পায় না। আমিও পাই না। পাওয়ার আশাও নেই। আমার এমন কী ক্ষতি করতে পারবে।
যেটাই করুক আমি সেটার জন্য প্রস্তুত আছি। যেহেতু আমি দাঁড়িয়ে আর আমাকে দেখে আরও কিছু ভাই-বোন দাঁড়িয়েছে তারা না সরা পর্যন্ত আমিও সরবো না। এমনকি তারা সরে গেলেও আমি থাকব।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার বিদায়ী শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান প্যানেলের কমিটির এই সভায় কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে বের হয়ে যান বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ।
জানা যায়, শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব চত্বরে শুক্রবার এজিএমের ডাক দেন। কিন্তু কমিটির চল্লিশ ভাগ সদস্যও এই এজিএমে উপস্থিত ছিলেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।