বিনোদন ডেস্ক : বলিউড তারকা আলিয়া ভাট ভারতে থাকলেও অক্ষয় কুমার, ক্যাটরিনা কাইফের মতো তিনিও কাগজে-কলমে ভারতীয় নাগরিক নন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তথ্যটি নিজেই জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
আগামী ১১ আগস্ট নেটফ্লিক্সে তার অভিনীত সিনেমা ‘হার্ট অব স্টোন’। আর এই সিনেমার মাধ্যমেই হলিউডে পা রাখতে চলেছেন আলিয়া। এ সিনেমার প্রচারের অংশ হিসেবে মূলত সাক্ষাৎকার দেন তিনি। আর সেখানেই অকপটে বিষয়টি স্বীকার করেন আলিয়া।
সহশিল্পী গাল গ্যাদত অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করেন, আলিয়া কি ব্রিটিশ? এর জবাবে আলিয়া বলেন, হ্যাঁ। ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমার মায়ের জন্ম বার্মিংহামে, যদিও আমি ভারতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং বড় হয়েছি।
এ সময় আলিয়ার কাছে গ্যাদত আরও জানতে চান, আপনার মা আপনার সঙ্গে বৃটিশ ইংরেজিতে কথা বলেন? এ ব্যাপারে আলিয়া বলেন, আমার নানি সারাজীবন ইংল্যান্ডে ছিলেন, তাই আমার নানির মাঝে ব্রিটিশ ইংরেজি উচ্চারণই এখনও রয়ে গেছে।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে আলিয়ার মা সোনি রাজদান বলেছিলেন, আমি যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করলেও, আমার বয়স যখন তিন মাস, তখন মুম্বাইতে চলে আসি আমি। আমার মা আমার জন্য ব্রিটিশ পাসপোর্ট এনেছিলেন। আমরা দক্ষিণ মুম্বাইতে থাকতাম এবং আমি বোম্বের ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়েছি।
পারিবারিক শিকর প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছিলেন, আমার মায়ের পরিবার জার্মানি থেকে এসেছিলেন। তারা পূর্ব বার্লিনে বাস করতেন, হিটলার ক্ষমতায় আসার ঠিক আগে। আমার দাদু কার্ল হোয়েলজার হিটলারের বিরুদ্ধে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড সংবাদপত্র চালাতেন।
হিটলারের বাহিনী সোনি রাজদানের দাদুকে বন্দি করেছিলেন জানিয়ে সোনি বলেছিলেন, আমার দাদু ইহুদি ছিলেন না। কিন্তু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন। মূলত এ কারণে তাকে বন্দি করা হয়েছিল। তবে দাদু খুব ভালো আইনজীবী ছিলেন। তাই জার্মানি ছেড়ে চলে যাওয়ার শর্তে সর্বশেষ তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তারপর পরিবারের সঙ্গে ইংল্যান্ডে চলে যান।
১৯৮৬ সালের ২০ এপ্রিল নির্মাতা মহেশ ভাটকে বিয়ে করেন সোনি রাজদান। ১৯৯৩ সালে তাদের কোল আলো করে জন্ম নেয় আলিয়া ভাট।
সুত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel