জুমবাংলা ডেস্ক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি মন্ত্রী; আমি তো বাস ঠিক করব না। এই বাস বন্ধ করলে আপনারা (সাংবাদিক) আগে রাস্তায় নামবেন। বলবেন জনগণকে কষ্ট দেয় (সরকার)। ১২ বছরে তো আমরা কম কাজ করিনি। পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রোরেল হয়েছে। ১২ বছরের কথা এনে অপবাদ কেন দিচ্ছেন। এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় কত কাজ হয়েছে। সব হবে একটু সময় দেন।
বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের এফডিসি গেট সংলগ্ন ১.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ র্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন তিনি। ১২ বছরেও লক্কড়-ঝক্কড় বাস বন্ধ না হওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের এফডিসি গেট সংলগ্ন ডাউন র্যাম্প দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ যান চলাচলে জন্য উন্মুক্ত করেন। এ অংশে ইতোমধ্যে ওঠা নামার জন্য মোট ১৫টি র্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আজ ১৬তম র্যাম্পটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা আপাতত প্রতি ঘণ্টায় ৬০ কিমি। এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে থ্রি-হুইলার, মোটরবাইক, বাইসাইকেল, পথচারী চলাচল করতে পারবে না।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)-ভিত্তিক দেশের বৃহত্তম প্রকল্প। প্রকল্পটি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ-খিলগাঁও-কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিমি। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিমি। এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৭২ দশমিক ৫১ ভাগ এবং প্রকল্পের কাজ ২০২৫ সালের প্রথম দিকে শেষ হবে বলেও মন্ত্রী জানান।
র্যাম্প উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতারসহ সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রকল্প এই বছরের মধ্যে শেষ হবে না। সামনের বছর শুরুতে পুরোটা খুলে দিতে পারব। এরপর হাতিরঝিলের র্যাম্প খুলে দেওয়া হবে। সেইভাবেই কাজ চলছে।
ঢাকায় রমজান মাসে যানজট বাড়ে এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, রমজানে মানুষ ঈদ ভারাক্রান্ত হয়। শপিংমলে যায়। যানজট একটু থাকবেই। তবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত তো যানজট হচ্ছে না। মানুষ কম সময়ে যাচ্ছে। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আছে। আস্তে আস্তে ঠিক হবে। একসঙ্গে সব হবে না।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, তাদের এখন পর্যন্ত ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ অংশে কাজ চলছে। এখানে সোনারগাঁও হোটেলের পাশে একটা ওঠার র্যাম্প হবে।
তিনি বলেন, ট্রাফিক বিভাগ বলছে, কারওয়ান বাজার র্যাম্প খুলে দিলে গাড়ির চাপ বাড়বে। এখন ফার্মগেট ও ইন্দিরা রোডে গাড়ির চাপ রয়েছে। মতিঝিল ও দক্ষিণ অংশের গাড়ি তখন এ র্যাম্প ব্যবহার করবে। কারওয়ান বাজার খুলে দিলে ওই অংশের চাপটা এদিকে চলে আসবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।