বিনোদন ডেস্ক : বছরের পর বছর ধরে নভোচারীরা তাদের মহাকাশ ভ্রমণকে ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ ও ‘অসাধারণ’ অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করে এসেছেন। কানাডিয়ান অভিনেতা উইলিয়াম শাটনারেরও সেই একই অভিজ্ঞতা হয়েছে, কিন্তু মহাকাশ নিয়ে তার পর্যবেক্ষণটা একটু অন্যরকম! বহু অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীর স্বপ্ন থাকে যে ভ্রমণ, সেই অভিজ্ঞতা লাভ করে ফিরে এসে ‘স্টার ট্রেক’ অভিনেতা বলছেন- তিনি শুধুই মৃত্যু দেখেছেন সেখানে!
গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশে ভ্রমণ করেন উইলিয়াম শাটনার। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে শাটনারের আত্মজীবনীমূলক বই ‘বোল্ডলি গো’, সহ-লেখক হিসেবে আছেন টিভি ও ফিল্ম লেখক জশুয়া ব্র্যান্ডন। ষাটের দশকের টিভি শো ‘স্টার ট্রেক’-এ মহাকাশযানের অধিনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে খ্যাতি পাওয়া শাটনারের বাস্তব জীবনের মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, তা এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
কিন্তু অভিনেতার লেখনীতে মনে হচ্ছে না তিনি খুব সুখকর ভ্রমণ করেছিলেন! ‘বোল্ডলি গো’র একটি উদ্ধৃতাংশে শাটনার লিখেছেন, “আমি দেখেছি শীতল, অন্ধকার-কালো ধূ ধূ শূন্যতা। এমন এক অন্ধকার যা পৃথিবীতে কোনোদিন দেখা বা অনুভব করা যায় না। খুব গভীর অন্ধকার, যেন চারিদিক ঢেকে যাচ্ছে, আমাদের গ্রাস করে ফেলছে! আমি পৃথিবীর পথের আলোর রেখার দিকে ফিরে তাকালাম। পৃথিবীর ন্যুজতা, মরুভূমির ধূসরতা, নীল আকাশে সাদা মেঘ…সবকিছু যেন একবারে দেখতে পেলাম। এটাই তো ছিল জীবন। আমাদের পৃথিবী, মাদার আর্থ! আর আমি সেই পৃথিবী ছেড়ে যাচ্ছিলাম!”
অভিনেতা এও জানিয়েছেন যে তিনি মহাকাশ ভ্রমণটা যেমন প্রত্যাশা করেছিলেন, বাস্তবে তেমনটা হয়নি- “আমার সব ধারণা ভুল ছিল। যেমনটা দেখবো ভেবেছিলাম, সবকিছুই ভুল ছিল।”
মহাবিশ্বের রূপ দেখে তিনি যেখানে মুগ্ধ হবেন ভেবেছিলেন, সেখানে মানুষ দিন দিন পৃথিবীকে কিভাবে ধ্বংস করছে তা দেখে শাটনার অত্যন্ত শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ৯১ বছর বয়সী অভিনেতা।
গত ৪ অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছে শাটনারের লেখা বই ‘বোল্ডলি গো’।
সূত্র: সিএনএন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।