জুমবাংলা ডেস্ক : সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার খুনের ঘটনায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামান শাহীন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে টেলিফোনে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহীন জানিয়েছেন, আনারের হত্যার সময় তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। ৫ কোটি টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশন চুক্তির বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।
আক্তারুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘এ ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার সময় আমি ভারতে ছিলাম না। আমার আইনজীবী বলেছেন এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা না বলতে। মানুষ দেশে অনেক কথাই বলে। যদি কোনো প্রমাণ থাকে, তাহলে দেখাক।’
ফ্ল্যাটের ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যদি ফ্ল্যাট ভাড়া নিই, তাহলে আমি কি আমার ফ্ল্যাটে এ ধরনের কাজ করব? আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখলে দেখা যাবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এখন বলা হচ্ছে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কীভাবে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি, কোথা থেকে পেলাম আমি এত টাকা? এখন এগুলো মানুষ বললে আমার কী করার আছে। ঘটনা কবে ঘটেছে, সেগুলো আমি পত্রিকায় দেখেছি। সেসময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম।
আক্তারুজ্জামান শাহীন বলেন, আমার ড্রাইভার তো কিছু করেনি। আমার গাড়ি, আমার সবকিছু নিয়ে চলে গেছে। এটা কোন ধরনের বিচার। আমি যদি অন্যায় করে থাকি, তাহলে আমাকে ধরুক। আমি তো এ দেশে বিচার পাব না। আমি আমেরিকার নাগরিক, এখানে চলে এসেছি। কী করব।
এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা হয় ঢাকার দুটি ফ্ল্যাটে। এ ফ্ল্যাট দুটির মালিক আনারের বাল্যবন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন।
ঘটনার দুই থেকে তিন মাস আগে ঢাকার গুলশান ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় দুটি ফ্ল্যাটে সহযোগীদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠক থেকেই হত্যার মূল দায়িত্ব দেওয়া হয় আক্তারুজ্জামান শাহীনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক নেতা শিমুল ভুঁইয়াকে।
একাধিক হত্যা মামলার আসামি শিমুল পুলিশের খাতায় একজন সন্ত্রাসী। নিজের অপরাধ গোপন রাখতে ইতোমধ্যে তিনি তার নাম পালটে ফেলেছেন। সৈয়দ আমানুল্লাহ নামে তৈরি করেছেন পাসপোর্টও। এখন তিনি আমানুল্লাহ নামেই পরিচিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে কলকাতার দমদম বিমানবন্দর লাগোয়া নিউটাউনে রহস্যজনকভাবে খুন হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। স্নায়ুরোগের চিকিৎসা নিতে তিনি ১২ মে দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা যান। কিন্তু পরদিন থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন।
মূলত সেদিনই (১৩ মে) তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে বুধবার। ওইদিনই রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন (২৪) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এমপি আনারের মাংস-হাড় টুকরো করার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে ‘কসাই’ জিহাদ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।