স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে বুধবার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে মুখোমুখি হয় ভারত-বাংলাদেশ। এদিন আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮৪ রান করে বিরাট কোহলিরা।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৭ ওভারে ৬৬ রান তুলে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি।
ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে বৃষ্টির সময়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪৯ রান। ১৭ রানে এগিয়ে ছিল টাইগাররা। তার মানে বৃষ্টির কারণে খেলা যদি আর মাঠে না গড়াতো তাহলে বৃষ্টি আইনে জিতত বাংলাদেশ।
বৃষ্টির পর খেলা মাঠে না গড়ালে সেমিফাইনালে উঠতে সমস্যায় পড়ে যেত ভারত। তাই বাংলাদেশকে ভেজা মাঠে খেলতে বাধ্য করা হয়।
খেলা শেষে এক সাংবাদিক সাকিবকে প্রশ্ন করেন, বৃষ্টির পর আপনারা কী আর খেলতে চাননি? কী আলোচনা হচ্ছিল?
জবাবে সাকিব বলেন, আর কী কোনো উপায় ছিল? ওই সাংবাদিক ফের প্রশ্ন করেন, উপায় ছিল না, কিন্তু আপনারা কী ভারত এবং ম্যাচ অফিসিয়ালদের বোঝানোর চেষ্টা করেননি? জবাবে সাকিব বলেন, কাদের?
সাংবাদিক ফের প্রশ্ন করেন, আম্পায়ার এবং অবশ্যই ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে? উত্তরে সাকিব বলেন, আমার কি আম্পায়ারকে বোঝানোর ক্ষমতা আছে?
এরপর সাংবাদিক বলেন, আচ্ছা, তাহলে আপনারা আম্পায়ারের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা করলেন? সাকিব বলেন, এবার ঠিক প্রশ্ন করলেন। আম্পায়ার আমাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। জানাচ্ছিলেন কত ওভার খেলা হবে, কত রান করতে হবে। সেই অনুযায়ী কী নিয়ম হবে।
সাংবাদিকের ফের প্রশ্ন, আপনারা সেটা মেনে নিলেন? সাকিব অবাক সুরে হ্যাঁ। সাংবাদিক বলেন, খুব সুন্দর, ধন্যবাদ।
বৃষ্টির পর ৯ ওভারে ৮৫ রান তাড়ায় আস্কিং রানরেট তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, বৃষ্টি তো আর আমাদের হাতে নেই। তাই আমাদের সেটা মেনে নিয়েই খেলতে হয়। ৯ ওভারে ৮৫ করতে হতো। এমন অবস্থায় অনেক দলই লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারত। দুর্ভাগ্য যে খুব কাছে গিয়েও আমরা পৌঁছতে পারিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।