গণমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় বহুল চর্চিত বিষয় আনান্ত আম্বানির তিনদিন ব্যাপি প্রাক-বিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। বিয়ে পূর্ব অনুষ্ঠান নিয়ে যখন ফেসবুক, অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম থেকে গণমাধ্যম সব পাড়া সরগরম, ঠিক তখনই অনেকের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ালো অনন্তের মুটিয়ে যাওয়া দেহ।
‘সে এতো মোটা কেন?’, ‘টাকা হলে এমন মেয়ে পাওয়া যায়’- এমন নানা কটাক্ষ হচ্ছে সোশাল মিডিয়া জুড়ে। আর এসব ট্রল এবং বডি শেইমিংয়ের পালে বাতাস লাগিয়েছে অনন্তর একটি চাঞ্চল্যকর মন্তব্য। প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠান মঞ্চে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে অনেক কথার সঙ্গে তিনি বলেন, ছোট থেকে তার বেড়ে ওঠা খুব নাকি সহজ ছিল না।
আর এ কথা শুনেই তরুণ নেটিজেনদের একটি বড় অংশ মজা করতে শুরু করে। তাদের দাবি- এশিয়ার এক নম্বর ধনীর সন্তানের মুখে এমন কথা হাস্যকরই না রীতিমতো বানোয়াট। ২০১৬ সালে, অনন্তর মা নীতা আম্বানি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ছোটবেলা থেকেই অনন্ত আম্বানি ভয়াবহ হাঁপানির রোগী।
ফলে তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেরয়েডের কারণে ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। মাঝে অবশ্য কঠোর ব্যায়াম করে ১৮ মাসে কমিয়েছিলেন ১০৮ কেজি ওজন। যদিও ২০২৩ এর আংটি বদলের অনুষ্ঠানের সময় অনন্ত ফিরে যায় পুরোনো রূপে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাজমায় আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে ব্যায়াম করা অথবা পরিশ্রম করা বেশ কঠিন।
আর এই রোগের চিকিৎসায় দীর্ঘমেয়াদে স্টেরয়েড গ্রহণ করলে একজন মানুষ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করে, যা কিনা বাড়ায় ওজন। পাশাপাশি এই স্টেরয়েড শরীরের পানি ধরে রাখে ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে গেলে প্রথমে বন্ধুত্ব পরে প্রেমে জড়ান আনান্ত-রাধিকা। এর পর আনান্তের নানা রকম শারীরিক অসুস্থতা এলেও হাত ছাড়েননি রাধিকা। রাধিকা ও অনন্তের ভালোবাসার অন্যতম সিক্রেটই হল বন্ধুত্ব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।