স্পোর্টস ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচগুলো শুরু হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে একই সময়ে দুটি করে ম্যাচ দেখা যাবে। কারণ শেষ ষোলোতে যেতে প্রায় সব গ্রুপেই একটি দল অন্য দলের ওপর নির্ভর করে থাকে। তাই ম্যাচ আগে-পিছে হলে দলগুলোর জন্য জয়ের ব্যবধান হিসাব করা সহজ হয়ে যায়।
দুর্নীতির ঘটনাও ঘটে। এটা বন্ধ করতেই একই সময়ে হচ্ছে দুটি করে ম্যাচ। কিন্তু কবে থেকে এবং কেন শুরু হলো এই সংস্কৃতি?
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ একই সময়ে হওয়ার পেছনে মূলত দায়ী ১৯৭৮ আর ১৯৮২ বিশ্বকাপের দুটি ঘটনা। যার সঙ্গে জড়িত আছে আর্জেন্টিনা এবং জার্মানির নাম। ৭৮’ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে সবার শেষে ছিল আর্জেন্টিনার ম্যাচ।
পরের রাউন্ডে যেতে পেরুর বিপক্ষে আর্জেন্টিনাকে জিততে হতো ৪ গোলের ব্যবধানে। সেই ম্যাচ আর্জেন্টিনা জিতে নেয় ৬–০ গোলে! অভিযোগ উঠেছিল, পেরুকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে আর্জেন্টিনা ম্যাচটি কিনে নেয়! সেটা নিয়ে ওই সময় তুমুল বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
পরের বিশ্বকাপেও একই ঘটনা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে জার্মানি যদি অস্ট্রিয়াকে এক গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দেয়, তাহলে অস্ট্রিয়া ও জার্মানি চলে যাবে পরের রাউন্ডে। তিন গোলের ব্যবধানে জিতলে অস্ট্রিয়ার বদলে পরের রাউন্ডে যাবে আলজেরিয়া। ম্যাচটির শুরুতেই এক গোল করে এগিয়ে যাওয়া জার্মানি আর গোলের কোনো চেষ্টাই করেনি! এমনকী অস্ট্রিয়ার ফুটবলাররাও গোল পরিশোধের চেষ্টা না করে স্রেফ সময় কাটিয়েছেন! এটি ছিল বিশ্বকাপ ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক পাতানো ম্যাচ।
পরপর দুই বিশ্বকাপে এমন ঘটনা ঘটার পর সমালোচনা বেড়ে যায়। নড়েচড়ে বসে ফিফা। তৈরি করা হয় নতুন নিয়ম। সে অনুযায়ী ১৯৮৬ সাল থেকে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয় একই সময়ে। যাতে কোনো দলই আর পরের রাউন্ডে যাওয়ার সমীকরণ আগে থেকে বুঝতে না পারে।
আমি হলেও ওই পেনাল্টি মিস করতাম না, মেসিকে নিয়ে তসলিমা নাসরিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।