আলাপচারিতার সময় আমরা অজান্তেই এমন অনেক ভুল করে ফেলি, যা অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই কথা বলার সময় প্রত্যেকের উচিৎ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা।
কথা বলার সময় খেয়াল রাখতে হবে আপনি কার সঙ্গে কথা বলছেন। সম্পর্ক ব্যক্তিগত হলেও অতিরিক্ত আবেগ বা উচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অযাচিত ভাবে ‘উপদেশ’ না দেওয়াই ভালো। আবার সব কথায় সম্মতি দেওয়াও যুক্তিযুক্ত নয়। যুক্তি ও বিবেচনা অনুযায়ী কথা বলা উচিত। পেশাগত ক্ষেত্রে আবেগ-অনুভূতির জায়গা সীমিত রেখে কাজ সংক্রান্ত কথা বলা প্রয়োজন।
সামনের মানুষ যা বলছেন তা মন দিয়ে শোনা জরুরি। কথার মাঝে অপ্রয়োজনীয় কথা বলবেন না। বোঝান যে, আপনিও তার কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। মুখোমুখি কথোপকথনের সময়ে বার বার নিজের ফোন দেখাও বদভ্যাস। যদি সেই সময়ে ফোনে কথা বলা বা মেসেজ পড়া জরুরি হয়, তা হলে তার থেকে সময় চেয়ে নিন।
রুক্ষ স্বরে কথা বলা, তির্যক মন্তব্য করাও ঠিক নয়। হাসিমুখেই বলুন, আপনি তাকে পরে সময় দেবেন। সামনের জনের চোখে চোখ রেখে কথা বলাও জরুরি।
যতটুকু দরকার, ঠিক ততটুকুই কথা বলুন। অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত জনের সঙ্গে কথা মেপে বলাই ভাল। অতিরিক্ত কথা, নিজের ব্যক্তিগত কথা বলে ফেলা ঠিক নয়। বেশি কৌতুক করা বা তাকে নিয়ে মজা করা থেকেও বিরত থাকুন। হয়তো মজার ছলেই এমন কিছু বলে ফেললেন, যা তাকে আঘাত করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।