প্রতীক মুস্তাফিজ : আরবী বর্ষের প্রথম মাসের নাম হলো মুহররম। এ মাসেই পালিত হয় পবিত্র আশুরা। শোকাবহ আশুরা ধর্মীয় তাৎপর্যপূর্ণও বটে। ইসলামিক পঞ্জিকা অনুসারে ১০ মুহাররম ৬১ হিজরী মোতাবেক ১০ অক্টোবর ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান ইরাকের কারবালা নামক প্রান্তরে নবী মুহাম্মদ (সা) এর প্রিয় নাতি হোসাইন ইবন আলী (রা) উমাইয়া খলিফা ইয়াজীদ বাহিনী কতৃক শাহাদাত বরণ করেন।
দিনটিকে স্মরণ করতে এই দিনে মুসলিম সম্প্রদায় বিশেষ বিশেষ ইসলামিক অনুষ্ঠান করে থাকেন। এর মধ্যে আশুরার দিনে মুরগি জবাই, ফাতিহা-মিলাদ ও হালুয়া-রুটি পরিবেশন বেশ প্রচলিত। বিশেষ করে পুরান ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাবাসীদেরকে এ ধরণের আয়োজন করতে দেখা যায়।
আশুরার দিনে একটি আমল সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তা হলো রোজা রাখা। আশুরা উপলক্ষে দুদিন রোজা রাখতে হয়। মহররমের ১০ তারিখের আগে বা পরে এক দিন বাড়িয়ে রোজা রাখা মুস্তাহাব। আরেকটি আমল বর্ণনা সূত্রে দুর্বল হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তা হলো, আশুরার দিনে খাবারে প্রশস্ততা। যথাসম্ভব ভালো খাবার খাওয়া। আরেকটি আমল যুক্তিভিত্তিক প্রমাণিত।
‘ফাতিহা’-এর অর্থ হলো উম্মুক্ত করা। ক্বোরআন মাজীদে ঈমানদারদের জন্য একে অপরের অনুকূলে দো‘আ করার হুকুম রয়েছে। ফাতিহা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী অনুষ্ঠান। ঈসালে সাওয়াবের শাখাসমূহের মধ্যে ফাতিহা দেয়া, যেমন, কারো মৃত্যুর পর চার দিনের ফাতিহা, দশ দিনের ফাতিহা, চেহলাম বা চল্লিশা এবং বার্ষিক ফাতিহা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। আর ফাতিহার মধ্যে ক্বোরআন তিলাওয়াত, দুরূদ শরীফ সাথে সাথে সদক্বাহ্-খয়রাত এবং খানা-পিনার ব্যবস্থার মাধ্যমে সবগুলোর সওয়াব সমস্ত নবী, ওলী, মু’মিন-মু’মিনাত, বিশেষত মৃত ব্যক্তি, যার উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, তার রূহে বখ্শিশ করা হয়।
ফাতিহার দলীল: হয়রত হুমাইদুল আ’রাজ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ক্বোরআনুল কারীম তেলাওয়াত করে ও খতম দিয়ে দো‘আ করবে, তার ওই দো‘আর সাথে চার হাজার নূরানী ফেরেশতা আমীন বলে। এরপর ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত অথবা সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ব্যক্তির জন্য রহমত ও মাগফিরাতের দো‘আ করতে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।